State

খুলে গেল তারকেশ্বর মন্দির, গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ

করোনার জন্য বন্ধ হয়েছিল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা। শুক্রবার সকালে খুলে গেল ভক্তদের জন্য।

কলকাতা : রাজ্যের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র তারকেশ্বরের বাবা তারকনাথের মন্দির। বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালতে, পুজো দিতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এখানে। বছরভর এই মন্দিরে ভক্ত সমাগম হলেও শ্রাবণ মাসে বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালতে ভিড় উপচে পড়ে। এবার করোনা আবহে সেসব কিছুই হয়নি। বন্ধ ছিল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা।

সেই মার্চ মাসে যে তারকেশ্বর মন্দির বন্ধ হয়েছিল, তা বলা ভাল শুক্রবারই খুলল। যদিও মাঝে মাত্র ১ দিনের জন্য মন্দির খুলেছিল। গত জুন মাসে আনলক পর্ব শুরুর পর তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য মাত্র ১ দিনে জন্য খোলে। কিন্তু তারপরই করোনার কারণে তা ফের বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ফলে ওই ১ দিন বাদ দিলে তারকেশ্বর মন্দির আদপে খুলল ৫ মাস পর। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারপরই স্থির হয় শুক্রবার সকাল থেকে মন্দির খুলে যাবে। আর শুক্রবার সকাল ৬টায় মন্দির খুলেও যায়। এখন মন্দির সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ভক্ত সমাগমে রয়েছে অনেক বিধিনিষেধ। করোনা নিয়মবিধি মেনেই মন্দিরে প্রবেশাধিকার মিলছে।

শুক্রবার মন্দির খুলতেই কিন্তু সকাল থেকে মন্দিরের বাইরে লাইন পড়ে যায়। মন্দিরের তরফে মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রচার করা হয়। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। এদিকে মন্দিরের প্রধান দরজা সহ ৩টি দরজা রয়েছে। ওই ৩টি দরজা দিয়েই ভক্তদের ঢোকানো হচ্ছে। তবে একসঙ্গে নয়। ৩টি দরজা ১৫ মিনিটের ব্যবধানে খুলে দেওয়া হচ্ছে। তারপর ভক্তরা প্রবেশ করছেন। ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করলেও গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারছেন না। বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালতে হলে চোঙার মাধ্যমে ঢালতে হচ্ছে জল। মন্দিরের দুধ পুকুর থেকে জল এনে চোঙার মধ্যে দিয়ে বাবার মাথায় তা ঢালা যাচ্ছে।

এতদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে মন্দিরে আসতে পেরে ভক্তরা খুশি। অনেকেই লাইন দিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা করেন মন্দিরে প্রবেশের জন্য। সতর্ক রয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষও। রাজ্যের অনেক মন্দিরই এর মধ্যে খুলেছে। তবে তারকেশ্বর মন্দির মাঝে ১ দিন খুলে বন্ধই থেকেছে এতদিন। অবশেষে তা খুলে গেল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *