এখানে একটি গিনিপিগ পুষলে বড় সাজার মুখে পড়তে হতে পারে
অনেকেই বাড়িতে নানা পশুপাখি পুষে থাকেন। যেমন কুকুর, বেড়াল, খরগোশ, পাখি এবং এমন নানা ধরনের প্রাণি। গিনিপিগ পোষা নিয়ে কিন্তু এখানে প্রশাসন বেশ কড়া।
![Switzerland](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/10/switzerland.jpg)
কুকুর, বেড়ালের মত কেউ চাইলে গিনিপিগও পুষতে পারেন। অনেকটা খরগোশের মতই চেহারা এই প্রাণির। অনেক দেশেই গিনিপিগ বাড়িতে পোষার প্রবণতা দেখা যায়। কেউ চাইলে একটি কুকুরও পুষতে পারেন, একটি বেড়ালও পুষতে পারেন, একটি পাখিও পুষতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ইচ্ছা।
কিন্তু বিশ্বের একটি দেশে একটি গিনিপিগ পোষা যাবেনা। যদি বাড়িতে গিনিপিগ পোষার ইচ্ছা কারও হয় তাহলে তাঁকে একাধিক গিনিপিগ পুষতে হবে।
আর যদি তিনি একটি গিনিপিগ পোষা শুরু করেন তাহলে তা বেআইনি হবে। সরকার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আইনি জটিলতায় সমস্যায় পড়তে হবে ওই ব্যক্তিকে।
দেশটি সুইৎজারল্যান্ড। আপাত দৃষ্টিতে এই সুইস আইন কিছুটা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু এটা অত্যন্ত ভাল ভাবনার ফল। কারণ গিনিপিগ হল এমন একটি প্রাণি যারা একা থাকতে পছন্দ করেনা। বরং দল বেঁধে থাকতে পছন্দ করে।
এরা খুবই সামাজিক প্রাণি। ফলে তাদের একা রাখাটা তাদের ওপর নির্যাতনের শামিল। এভাবে একটিমাত্র গিনিপিগ পুষে তাকে কষ্ট দেওয়া যাবেনা বলেই মনে করে সুইৎজারল্যান্ডের সরকার।
তাই গিনিপিগ পুষতেই যদি হয় তাহলে একাধিকই পুষতে হবে সে দেশে। নচেৎ বড় আইনি খাঁড়া অপেক্ষা করছে ওই ব্যক্তির জন্য। সুইস এই আইন গিনিপিগদের সামাজিক স্বার্থ রক্ষা করেছে। ছোট্ট প্রাণিটি নিয়ে যে সুইৎজারল্যান্ডের সরকার এতটা ভেবেছে সেটাকে তারিফ করেছেন অনেক পশুপ্রেমী মানুষ।