World

সুরের গভীর জ্ঞান, ৮ পায়ে মনের আনন্দে পিয়ানো বাজাচ্ছে অক্টোপাস

এও যে সম্ভব তা হয়তো চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতেননা। জলের অষ্টপদী যে এমন অবলীলায় পিয়ানো বাজাতে পারে তা তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

সমুদ্রে লম্বা লম্বা পা আর থলথলে একটা শরীর নিয়ে তাদের জীবন। এই ৮টি সাবলীল দাড়া বা পা তাদের বড় সম্বল। ওটাই শিকার ধরার মূল হাতিয়ার। সমুদ্রের এই জীব যে এমন সুরের জগতে বিচরণ করতে পারে তা কে জানত!

এটা যে সম্ভব সেটাও বিশ্বাস করা কঠিন। অনেক সময় ছোটদের বইতে নানা প্রাণির ছবি থাকে। তাদের হাতে থাকে বাদ্যযন্ত্র। সেটা নেহাতই শিশুমনকে আনন্দিত করার কৌশল।

কিন্তু সেই ছোটদের বইয়ে আঁকা কল্পনা যে এমন বাস্তবে দেখা যাবে তা সুইডেনের এক সুরকার প্রমাণ করে দিলেন। তিনি পর্তুগিজ একটি অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে একটি অক্টোপাস কিছুদিনের জন্য নিজের কাছে নিয়ে আসেন।

উদ্দেশ্য ছিল অক্টোপাসকে পিয়ানো শেখাবেন তিনি। এরপর ৬ মাস ধরে দিন রাত এক করে তিনি অক্টোপাসটির পিছনে পড়ে থাকেন। যাতে সে পিয়ানো বাজাতে শেখে।

কখনও কাঁকড়া খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে, কখনও অন্য উপায়ে তিনি অক্টোপাসকে পিয়ানো বাজানোটা শিখিয়েই দেন। তবে পিয়ানো যেভাবে সকলে দেখে অভ্যস্ত সে পিয়ানো নয়, বরং জলের তলায় পিয়ানোর উপরের রিডগুলিকে বিশেষভাবে আবরণ দিয়ে এই পিয়ানোর অবস্থান।

জলে তার কোনও ক্ষতি হয়না। সেটি রাখা আছে অক্টোপাসটি যে অ্যাকোয়ারিয়ামে আছে তার নিচে। সেখানেই কাঁকড়া খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে অক্টোপাসকে পিয়ানো বাজানে শিখিয়েছেন মাতিয়াস ক্রাঞ্জ।

তিনি গিটার বাজান আর অক্টোপাস তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার অষ্টপদ কাজে লাগিয়ে পিয়ানোর রিডে চাপ দিতে থাকে। একদম সঠিক সুরে বাজতে থাকে পিয়ানো। অক্টোপাসটির একটি নামও দিয়েছেন মাতিয়াস। তার নাম টাকোয়াকি। ডাকনাম স্রেফ টাকো।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *