World

নাক দিয়ে ঢুকে ব্রেন চিবিয়ে খাচ্ছে এই জীব, দেশের প্রথম শিকার এক প্রৌঢ়

ব্রেন খেয়ে নিচ্ছে এক ধরনের জীব। একটি দেশে এমন উদাহরণ এই প্রথম মিলল। বিদেশ থেকে ফিরে এক প্রৌঢ় এই জীবের আক্রমণের শিকার হলেন।

গত কয়েক মাস থাইল্যান্ডে কাটিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৪ মাস সেখানে থাকার পর দেশে ফিরেছিলেন। গত ১০ ডিসেম্বর ফেরেন নিজের দেশে। তারপর মাথায় অস্বস্তি শুরু হয়। গত সপ্তাহে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

চিকিৎসকেরা মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে অবাক হয়ে যান। দেখা যায় ওই প্রৌঢ়ের মস্তিষ্ক শেষ করে দিয়েছে এক ধরনের জীব।


এটির ভাল নাম নাগলেরিয়া ফাওলেরি। যাকে সহজ কথায় বলা হয় ব্রেন ইটিং অ্যামিবা। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলা অ্যামিবা।

অ্যামিবা এক ধরনের এককোষী জীব। যাকে জলেই পাওয়া যায়। এই নাগলেরিয়া ফাওলেরি নামে অ্যামিবাও জলেই পাওয়া যায়।

ওই প্রৌঢ় আদপে দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দা। তিনি ৪ মাস থাইল্যান্ডে কাটিয়ে নিজের দেশে ফেরার পর দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার পতন হয়। তারপর মৃত্যু।

এটাই দক্ষিণ কোরিয়ায় নাগলেরিয়া ফাওলেরি-তে প্রথম মৃত্যু। পরিস্কার জলের দিঘি, নদী, পুকুর বিভিন্ন জায়গায় এই অ্যামিবা পাওয়া যায়। যা জলে স্নান করার সময় নাক দিয়ে ঢুকে পড়ে শরীরে। তারপর তা ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে মস্তিষ্ক কুড়ে খেয়ে ফেলে।

১৯৩৭ সালে এই অ্যামিবার হানায় প্রথম মৃত্যু হয় আমেরিকার এক বাসিন্দার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ডের মত কয়েকটি দেশে এই অ্যামিবা দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নাগলেরিয়া ফাওলেরি-তে ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button