World

৭৩ বছর পর মেটাল ডিটেক্টর খুঁজে পেল হারানো আংটি, মালিকের দেখা হল না

৭৩ বছর পর হারানো একটি আংটি খুঁজে দিল মেটাল ডিটেক্টর। তবে যাঁর সেই আংটি তাঁর আর সে আংটি ফেরত পাওয়া হল না।

একটি মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে জমির দিকটা খুঁজে দেখছিলেন এক ব্যক্তি। কিছুটা কৌতূহলেই দেখছিলেন মেটাল ডিটেক্টরের কার্যকারিতা। আর তা করতে গিয়ে মেটাল ডিটেক্টর সিগনাল দিতে মাটির খাঁজে একটি আংটি পান তিনি। সে আংটি যে আদৌ হালফিলের নয় তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর।

তিনি আংটিটি সযত্নে তুলে আনেন। পরীক্ষা করতে গিয়ে মাইকেল শ‌েলি নামে ওই ব্যক্তি বেড়াতে গিয়ে পাওয়া আংটিটির কিছু চিহ্ন দেখে বুঝতে পারেন এ আংটি ১৯৪৮ সালের একটি স্কুল পড়ুয়ার আংটি।


দক্ষিণ ক্যারোলিনায় উইলসন কলেজের স্নাতক যে ব্যক্তির ওই আংটি, তার পিছনে তাঁর নামের আদ্যক্ষর লেখা ছিল। এএইচসি দেখে তারপর খোঁজ শুরু করেন শেলি।


৩ সপ্তাহ ধরে খোঁজ নেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন ওই স্কুলের কোন ছাত্রের আংটি সেটি। যেটি ১৯৪৮ সালে তিনি পড়ুয়া অবস্থায় হারিয়ে ফেলেছিলেন।

বাড়ি খুঁজে শেলি ওই কুকসে পরিবারের কাছে হাজির হন। আংটিটি আর্ট কুকসের। তাঁর খোঁজ করতে শেলি জানতে পারেন যে তিনি ২০১৬ সালেই মারা গেছেন। ফলে তাঁকে আর আংটি ফেরত দেওয়ার উপায় নেই।

তবে আর্টের স্ত্রী জীবিত। শেলি ওই আংটিটি তাঁর স্ত্রী ৯১ বছরের মারগেরির হাতে তুলে দেন। বৃদ্ধা জানান, তাঁর যখন বিয়ে হয় তার অনেক আগেই আংটিটি হারিয়েছিল। তাই ওটি সম্বন্ধে তাঁর জানা নেই। তাঁর স্বামীও কখনও ওই হারানো আংটির কথা তাঁকে বলেননি।

তবে এখন যখন স্বামীর সেই আংটি ৭৩ বছর পর তাঁর কাছে এসেছে তখন সেটি আপাতত তিনি তাঁর সঙ্গেই রাখবেন। তাঁর অবর্তমানে তা পরিবারের হাতে যাবে। এভাবেই সেটি পরিবারে পরম্পরায় সংরক্ষিত হবে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button