World

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রথম নয়, এর আগেও হাসিনার কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন মমতা।

ঢাকা : দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে পুজো অনেকটাই নিষ্প্রভ। উৎসব উৎসাহহীন। তবু পুজোর শুভেচ্ছা বিনিময়ে তো বাধা নেই। বাধা নেই উপহার আদান প্রদানেও। কেবল করোনা বিধি মেনে সবকিছু হলেই হল।

এবার পুজোর মুখে সেই পুজোর উপহার এল প্রতিবেশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। এল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।

গত রবিবার যশোর রোডের বেনাপোল সীমান্তে হাজির হন কলকাতায় উপস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্তারা। ওদিকে ঢাকা থেকে শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে ২টি বন্ধ পার্সেল এসে হাজির হয় বেনাপোলে।

তারপর সীমান্তের প্রোটোকল মেনে বাংলাদেশের কলকাতায় উপস্থিত কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই পার্সেল। পরে সেই পার্সেল নবান্নে গিয়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার।


এই সৌহার্দ্য আগেও দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। জানা যাচ্ছে, হাসিনা শাড়ি উপহার পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। ২টি দেশের সীমানা আলাদা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশকে। বাকি ভাষা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, পোশাক, গান, কবিতা, গল্প এবং অনেককিছুই এক এই দুই প্রান্তের মানুষের। শাড়িও তার মধ্যে একটি। সেই শাড়িই পুজোর মুখে উপহার হিসাবে এল এপারে।

Sheikh Hasina
ফাইল : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি – আইএএনএস

রাজ্যে এবার পুজো অনেকটাই ম্লান। করোনার প্রকোপে পুজোর উৎসবের মেজাজে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশিকায় পুজো মণ্ডপও থাকবে দর্শক শূন্য। তবু বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গাপুজো।

যে ৪টি দিনের অপেক্ষায় সারাটা বছর বাঙালি বুক বেঁধে বসে থাকে। নানা পরিকল্পনা করে। দশমীর দিন মাকে বিদায় জানানোর সময় মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আবার এসো মা।

মা যে বাঙালি জীবনে সতেজ বাতাস বয়ে আনেন কটা দিনের জন্য। সেই চারটে দিনের আনন্দও এবার মাটি করেছে মারণ করোনা। অথচ করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাটা উৎসব পালনের চেয়েও অনেক বেশি দরকারি।

উৎসব ফিরে আসবে আবার। কিন্তু করোনার থাবা একজন মানুষের জীবন পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে। তাই এবার বাঙালির মননে, অন্তরে পালিত হবে দুর্গাপুজো। মনের আঙিনায় বাজবে ঢাক, হাওয়ার দোলায় দুলবে কাশ ফুল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button