Health

গাঁজায় লুকিয়ে করোনার চিকিৎসা

গাঁজা পাতায় লুকিয়ে আছে করোনার চিকিৎসা। তা কীভাবে কাজ করতে পারে তার হদিশ পেলেন গবেষকেরা। যা হয়তো আগামী দিনে করোনা চিকিৎসায় কাজে দিতে পারে।

নিউ ইয়র্ক : করোনা হলে অনেকের ক্ষেত্রে তা ফুসফুসে আঘাত হানছে। ফুসফুসে সাইটোকাইন স্টর্ম হচ্ছে। যা ফুসফুসে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে। শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। করোনা থেকে শ্বাসকষ্ট এবং মৃত্যু যা হচ্ছে তা এই সাইটোকাইন স্টর্ম থেকেই হচ্ছে।

এই সাইটোকাইন স্টর্ম বা ঝড় সামাল দিতে গাঁজা পাতায় থাকা ক্যানাবিডিওল বা সিবিডি দারুণ কার্যকরী। এমনকি তা কীভাবে কাজ করে তারও হদিশ পেয়ে গেলেন গবেষকরা।

সাইটোকাইন স্টর্ম শুরু হলে ফুসফুসে এপলিন-এর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে থাকে। যা মানুষের প্রাণ হানির কারণ হচ্ছে। বিশ্বে এখনও এপলিন লেভেল পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ লক্ষ মানুষের।

গাঁজা পাতায় থাকা ক্যানাবিডিওল বা সিবিডি এই এপলিন লেভেল পড়া থেকে আটকায়। শুধু কমা থেকে আটকায়ই না, যাতে ফুসফুসে এপলিন লেভেল একদম ঠিক থাকে তাতেও সাহায্য করে।

ক্যানাবিডিওল বা সিবিডি ফুসফুসের সংক্রমণও দ্রুত কমাতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। করোনা হলে এপলিন লেভেল কমতে কমতে শূন্যেও পৌঁছে যেতে পারে, যা অবশ্যই প্রাণঘাতী।

গাঁজা পাতায় থাকা ক্যানাবিডিওল বা সিবিডি যা দ্রুত ২০ গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। ফলে মানুষের মৃত্যু আটকে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকেরা। তাঁরা এই গাঁজা পাতার গুণ নিয়ে রীতিমত উৎসাহিত।

Cannabis
ফাইল : গাঁজা পাতা

অনেকেরই এরপর প্রশ্ন তাহলে কী গাঁজা পাতাকে কাজে লাগানো শুরু হবে করোনায় ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে? গবেষকেরা কিন্তু বলছেন ক্যানাবিডিওল বা সিবিডি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁরা এর গুণের হদিশ পেয়েছেন মাত্র।

এবার গাঁজা পাতা থেকে তা কীভাবে বার করা হবে, তা থেকে কীভাবে ওষুধ তৈরি করা হবে, সেসব ভাবার পাশাপাশি এটা বার করতে পারলেও তার মানবদেহে ট্রায়াল করতে হবে।

তারপর সেই ট্রায়াল সফল হলে সেটি চিকিৎসার কাজে লাগানো যাবে। যা থেকে স্পষ্ট যে এখুনি কিছুই হওয়ার নয়। তবে এটাও ঠিক যে করোনা থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ রুখে দিতে গাঁজা পাতা নিয়ে গবেষণা ও ওষুধ তৈরির চেষ্টা শুরু হয়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *