Kolkata

বঙ্গ রাজনীতিতে ইন্দ্র পতন, প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি

মারা গেলেন ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মারা যাওয়ার সময়ে পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি ও ছেলে মিছিল দাশমুন্সি। ইন্দ্রপ্রস্থের অ্যাপোলো হাসপাতালে এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রিয়বাবু।

২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালীনই প্রিয়বাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হলেও কোমায় চলে যান প্রিয়রঞ্জন। হারিয়ে ফেলেন বাকশক্তিও। তারপর থেকে ওই অবস্থাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মানব দেহের যে বডি সিস্টেম হয়, তা কার্যকরী থাকলেও তাঁর নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তা কৃত্রিমভাবেই দেওয়া হত। খাওয়ানোও হত বিশেষ নলের সাহায্য নিয়ে। এর বাইরে ঘুমনো বা ঘুম ভাঙা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। রক্তচাপও স্বাভাবিক ছিল। তবে কাউকে চিনতে পারতেন না। ওই অবস্থায় এতগুলো বছর কাটানোর পর অবশেষে চলে গেলেন প্রিয়রঞ্জন।


ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে রাজনীতিতে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উত্থান হয় উল্কার গতিতে। সুবক্তা হিসাবে খুব দ্রুত নেতৃত্বের স্তরে উঠে আসেন তিনি। ১৯৭১ সালেই পা রাখেন সংসদে। ১৯৮৫ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। ২০ বছর সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ সামলেছেন তিনি। বাংলার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি চিরকাল বেঁচে থাকবেন মানুষের মনে।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button