World

মানববোমা বিস্ফোরণ, বিভিন্ন কোণায় সংঘর্ষ, মৃত্যু, রক্তাক্ত ভোটগ্রহণপর্ব

পাকিস্তানে বুধবার অনুষ্ঠিত হল সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধে ৬টায়। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছিল যথেষ্ট। সকালে বুথের দরজা খোলার আগেই অনেক বুথে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ, বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এবার ভোটের ময়দানে একে অপরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতে সবরকমভাবে তৈরি ছিল। এরমধ্যেই ছিল ভোটগ্রহণের দিন সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা।

ভোট শুরুর পর সব সম্ভাবনাই সত্যি হল। বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় এদিন বেলার দিকে একটি বুথে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তাকে পুলিশ আটকে দেয়। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে তারপরই ওই ব্যক্তি নিজের গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। মুহুর্তে চারদিকে ছিটকে পড়ে দেহ। ঘটনাস্থলেই ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত অনেক মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সিন্ধ প্রদেশের লারকানাতেও এদিন একটি বুথের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে কারও মৃত্যু না হলেও কয়েকজন আহত হন। এদিকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার একটি বুথের সামনে এদিন ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির কর্মীদের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ গুলিও চলে। এখানে ১ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে কয়েকটি পাক সংবাদমাধ্যম। এছাড়াও এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন কোণায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বেলা যত গড়িয়েছে সংঘর্ষের মাত্রা ততই বেড়েছে। ফলে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে প্রবল নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হলেও তাতে সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবাদী হানা কিছুই থামানো গেল না। বরং এক রক্তক্ষয়ী ভোটগ্রহণ হয়ে থেকে গেল এই নির্বাচন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *