World

পাহাড়ের পাদদেশে জমায়েতের ওপর আছড়ে পড়ল মার্বেলের ধস, মৃত ১৭

পাহাড়ের ঠিক পাদদেশেই জমায়েত হয়েছিল। অনেক মানুষ জমা হয়েছিলেন সেখানে। ধস নেমে সেখানেই মৃত্যু হল ১৭ জনের।

ইসলামাবাদ : পাহাড়ে ঘেরা এলাকা। চারিদিকে পাহাড় আর ঘন অরণ্য। স্থানীয় মানুষজন এখানে এই পাহাড়, জঙ্গলেই বাস করেন। মূলত এঁরা আদিবাসী। এঁদের নানা রীতি রয়েছে। তারই একটি রীতি মেনে গত সোমবার একটি পাহাড়ের পাদদেশে জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। এমনটা হয়েই থাকে। চারিদিকে তো পাহাড়। তাই পাহাড়ের পাদদেশেই তাঁদের বাস। সেখানেই তাঁদের জমায়েত। সেই জমায়েতের ওপর যে এমন ভয়ংকর অভিশাপ নেমে আসবে তা বোধহয় বুঝতে পারেননি কেউ।

যে পাহাড়ের পাদদেশে ওই জমায়েতের হয়েছিল সেই পাহাড়ের ওপর থেকেই আচমকা হুড়মুড়িয়ে ধস নেমে আসে। বিশাল বিশাল মার্বেল পাথরের চাঁই এসে আছড়ে পড়তে থাকে মানুষজনের ওপর। সকলে পালানোর সুযোগও পাননি। অনেকেই চাপা পড়ে যান সেই পাহাড়ের ওপর থেকে নেমে আসা ধসের তলায়। বিশাল ধ্বংসস্তূপের তলায় হারিয়ে যান তাঁরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মানুষজনকে উদ্ধার করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন। আশপাশের জেলাগুলি থেকে নিয়ে আসা হয় পাথর সরিয়ে মানুষজনকে উদ্ধার করার মত শক্তিশালী মেশিন। স্থানীয় মানুষও উদ্ধারে হাত লাগান। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ বিপুল পরিমাণে পড়ে আছে। তার তলা থেকে ১৭টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবারও উদ্ধারকাজ অব্যাহত ছিল। এখনও অনেকে ওই স্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। যেখানে ঘটনাটি ঘটে সেই সাফি এলাকাটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। দুর্গম এলাকা হিসাবেই খ্যাত। এই এলাকার মার্বেল পাথর বিখ্যাত। এখানে অনেক পাহাড়েই রয়েছে মার্বেল পাথর। সেই মার্বেল পাথরের তলায় আপাতত চাপা পড়ে আছেন বেশ কয়েকজন। যাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আংশিক স্বয়ংশাসিত এলাকা। আদিবাসী প্রধান এলাকা বলেই এই ব্যবস্থা। এখানে মার্বেল ভাঙতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। ২০১৫ সালে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যুও হয় মার্বেলে চাপা পড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *