World

৪০০ টাকা কেজি টমেটো, মাথায় হাত ধনীদেরও

সোমবারও যে টমেটো ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিকিয়েছে, তা বুধবার ছুঁল ৪০০ টাকা কেজিতে। এভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে টমেটোর দাম। ফলে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত দূরে থাক, ধনীদের পক্ষেও টমেটো কেনা সম্ভব হচ্ছে না। মাথায় হাত পড়েছে তাঁদেরও। আর এই পরিস্থিতির জন্য দেশের সরকারকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, দেশের সরকার কোনও দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি কেবল কিছু আমদানিকারকের জন্য বেঁধে দিয়েছেন। ফলে আগে যেভাবে অনেকেই আমদানির সুযোগ পেতেন তা আর হচ্ছেনা। আর মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে আমদানির ক্ষমতা চলে যাওয়ায় এখন টমেটোর দামের এই অবস্থা।


পাকিস্তানের বাজারে এখন টমেটো চোখে দেখলেও কেনার ঝুঁকি কেউ নিচ্ছেন না। এমনকি দাম জিজ্ঞেস করার সাহসও অনেকে দেখাচ্ছেন না। ভুলেই যাওয়ার চেষ্টা করছেন টমাটো বলেও কিছু তাঁরা খেতেন। পাকিস্তানের এক বিয়েতে তো পাত্রী সোনার গয়নায় না সেজে টমেটোর সাজে সেজে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দেশ জুড়ে টমেটোর আকাল ও আকাশ ছোঁয়া দামকে খবর করে ছেড়েছেন তিনি। টমেটোর সাজে কনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকায়।

পাকিস্তানে টমেটো মূলত আসে ইরান থেকে। তাফতান সীমান্ত দিয়ে টমেটো ইরান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করে। সেখান দিয়ে এবার সাড়ে ৪ হাজার টনের জায়গায় টমেটো এসেছে মাত্র ৯৮৯ টন। আরও কিছু টমেটো আসার কথা মঙ্গলবার থাকলেও তা আদৌ এসেছে কিনা সে সম্বন্ধে ব্যবসায়ীরা কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে দেশ জুড়ে টমেটোর দাম যখন ৪০০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে তখন পাক সরকার এখনও দাবি করছে যে টমেটোর দাম এখন যাচ্ছে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি। যদিও ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ কেউই সেই খতিয়ানকে সত্য বলে মানছেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button