National

দিল্লিতে মিলল আর এক রাম রহিমের খোঁজ

বাবা রাম রহিমের কালো জামানার শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ডেরায় অন্যান্য রাম রহিমদের শেষ যেন আর হচ্ছে না। রাজধানী দিল্লির বুকে এমনই একটি ডেরা থেকে উদ্ধার হল ধর্মের নামে লালসার ফাঁদে পড়া ৪০ জন বন্দিনী।


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লির রোহিণী এলাকায় অবস্থিত আধ্যাত্মিক বিশ্ব বিদ্যালয় আশ্রমে অভিযান চালায় পুলিশ। জানা গেছে, ঐ আশ্রমের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ভক্তমহলে প্রবল জনপ্রিয় বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত নামে এক স্বঘোষিত গুরুদেব। ঐ গুরুর আশ্রমে মেয়েদের নিয়ে বেআইনি কাজ করা হয় বলে একাধিক অভিযোগ থানায় বেশ কিছু দিন ধরে জমা পড়ছিল। বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ জানান, তাঁদের মেয়েদের সঙ্গে আশ্রম কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে দেখা করতে দিচ্ছে না। তাঁদের এও অভিযোগ, আশ্রমে পাঠানোর সময় তাঁদেরকে একটি চুক্তিপত্রে সই করানো হত। যাতে লেখা থাকত যে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে গুরুর হাতে সমর্পণ করে দিলেন। এমনকি ঐ আশ্রমকে মোটা টাকার দান দিতে তাঁরা বাধ্য থাকতেন বলেও অভিযোগ পরিবারগুলির। ঐ গুরুর নাকি আবার ১৬ হাজারের মত সঙ্গিনীও আছে বলে সূত্রের খবর।

গত মঙ্গলবার অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ আশ্রমে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বেশ কিছু ওষুধ আর সিরিঞ্জ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্দেহ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আশ্রমের গুপ্তকক্ষে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে তারা গুরুতর অসুস্থ ৪০ জন মহিলাকে উদ্ধার করে। ডেরায় আরও মেয়েদের বন্দি থাকার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা বিভাগ। এমনকি মেয়েগুলির উপর দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।



এদিকে পুলিশি অভিযানের আগেই আশ্রম ছেড়ে চম্পট দেয় বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত। আশ্রমের ভিতরে কুকর্ম চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত গুরুকে গ্রেফতার করতে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button