National

১৭ বছর পর বেঁচে উঠতেই গ্রেফতার

এ যেন সিনেমা। বাস্তবটা আরও নাটকীয়। সে কাহিনি সামনে এল এবার। ১৭ বছর পর মৃত মানুষকে পাকড়াও করল পুলিশ। একটা গোপন খবরেই সব ফাঁস হয়ে গেল।

ঘটনার শুরু ২০০৪ সালে। তখন তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। বাবা এবং পরিবারের অন্য বয়োজ্যেষ্ঠরা তাঁর একটি বীমা করান। যেখানে একটি শর্ত ছিল যে বীমা করা অঙ্কের টাকার ৪ গুণ টাকা দেওয়া হবে পরিবারকে যদি ওই ২০ বছরের তরুণের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। ২০ লক্ষ টাকার বীমা করা হয় তাঁর।

এরপর ২ বছর কেটে যায়। কিন্তু ফন্দি আঁটার কাজ চলতে থাকে। আর সেইমত তিনি ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন মিলে এক ভিখারিকে একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। তারপর ওই যুবকের গাড়ির চালকের আসনে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

গাড়িতে ওই অজ্ঞান ভিখারিকে বসিয়ে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অনিল সিং মালেক ও তাঁর পরিবারের লোকজন গাড়িটি ঠেলে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মারেন। গাড়িতে তার আগেই পেট্রোল ছড়ানো ছিল। ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

চালকের আসনে অজ্ঞান অবস্থাতেই পুড়ে মৃত্যু হয় ওই ভিখারির। কিন্তু মালেক পরিবার বীমা সংস্থাকে জানায়, অনিল সিং মালেক ওই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। যেহেতু পুড়ে যাওয়া দেহ শনাক্ত করা যায়নি, তাই মালেক পরিবারের দাবি মেনে বীমার ৮০ লক্ষ টাকা পায় ওই পরিবার।

এই ঘটনার পর রাজকুমার চৌধুরি নাম নিয়ে অনিল আমেদাবাদে চলে গিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বিয়ে করেন। সন্তানও হয়। আমেদাবাদে ১৭ বছর দিব্যি কাটান তিনি। তাঁর অতীতের কথা তাঁর পরিবার জানত না।

কিন্তু কোনও এক পূর্ব পরিচিতের নজরে তিনি পড়ে যান। যিনি গোপনে পুলিশে খবর দিয়ে জানান অনিল সিং মালেক মারা যাননি। পুলিশ এরপর আর দেরি না করে অনিলকে গ্রেফতার করে। বীমার মোটা টাকা আদায় করে আমেদাবাদে এসে সংসার পেতেও শেষরক্ষা হল না অনিল সিং মালেকের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *