দেশ ঢাকছে রঙিন আলোর রোশনাইতে, ভূস্বর্গ ঢাকছে কেবল সাদায়
এ যেন এক বৈপরীত্যের রং। যখন দীপাবলির আলোর রোশনাইতে মুখ ঢাকছে দেশের বাকি অংশ, তখন ভূস্বর্গ মুখ ঢাকল সাদা চাদরে।
![Snowfall](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/11/snowfall.jpg)
আলোর উৎসব দীপাবলির আনন্দে ইতিমধ্যেই মাতোয়ারা দেশের এক বড় অংশ। শুরু হয়ে গেছে উৎসবের আনন্দ। যার পারদ ক্রমশ চড়বে কয়েকদিনে। আলোর উৎসবে মোমবাতি থেকে মাটির প্রদীপের আলো রাতের অন্ধকার মুছে দিতে চলেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রঙিন আলো মুছে দিচ্ছে সব গ্লানি, অন্ধকার।
আলোয় আলোয় ভরে উঠেছে হেমন্তের হিমেল রাত। এবার দীপাবলি একটু দেরিতেই। তাই শীতের ছোঁয়াটা একটু বেশি। তবে ভারতের বাকি অংশ যখন রঙিন আলোর রোশনাইতে মাতোয়ারা, তখন দেশের অন্যতম সুন্দর স্থান কাশ্মীর ঢেকেছে সাদা আলোর চাদরে।
দেশ যখন মানুষের সাজানো আলোয় সেজে উঠছে, তখন প্রকৃতি নিজে হাতে অন্য সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে ভূস্বর্গরে পাহাড়ি এলাকাগুলোকে। এখানে শুরু হয়েছে তুষারপাত। বিভিন্ন জায়গায় যখন শীতের কম বেশি পরশ উপভোগে ব্যস্ত মানুষজন, তখন কাশ্মীরে দস্তুরমত কনকনে ঠান্ডা থাবা বসিয়েছে।
কাশ্মীরের সমতল ঘেঁষা জায়গাগুলো যেমন বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, তেমনই পাহাড়ি উঁচু এলাকা তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে। ইতিমধ্যেই গুলমার্গ তার প্রথম তুষারপাতে সাদা হয়ে গেছে। তুষারপাত হয়েছে জোজিলা পাসে। যা শ্রীনগর লে হাইওয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া মুগল রোড, সিন্থান পাস, রাজদান পাস সবই বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, গাছপালা সবই বরফের চাদরের তলায় চলে গেছে।
তুষারপাতের জেরে পারদও এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে গেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আপাতত জম্মু কাশ্মীরে বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা নেই। ফলে শুকনো থাকবে আবহাওয়া। তুষারপাতের জেরে পারদ আরও কমবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা