National

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জল আসত ৩০০ কিলোমিটার দূরের কুয়ো থেকে, ফের নজরে সেই কুয়ো

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে একটি কুয়ো থেকে খাবার জল আসত। ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসত সেই জল। সেই কুয়ো নিয়ে এখন নতুন ভাবনা শুরু।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বিখ্যাত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য। কিন্তু তিনি একাই নন, কলকাতার এই বর্ধিষ্ণু পরিবারের অন্যরা নেহাত কম বিখ্যাত ছিলেননা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুর, যাঁকে সকলে প্রিন্স বলে ডাকতেন, তিনি ছিলেন খেয়ালি মানুষ। অনেক সময় তাঁর যা মনে হত সেটা তিনি করতেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যেমন দ্বারকানাথ ঠাকুরের মনে হয়েছিল সেই সময় কলকাতা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে বর্তমান ঝাড়খণ্ডের মহেশমুণ্ডা এলাকার একটি কুয়োর জল অত্যন্ত উপকারি। ওই জল পান করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। খাবার ভাল হজম হয়।

সেজন্য দ্বারকানাথ ঠাকুর সেই সময়, যে সময় অত দূর থেকে যাতায়াতই ছিল কঠিন, সেই সময় খাবার জল আনাতেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। ৩০ ফুট গভীর সেই কুয়ো সংরক্ষণের ব্যবস্থা হল এবার।

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন সেই মানুষটি যিনি ভারতে প্রথম রেল চালানোর উদ্যোগ নেন। এখন এই মহেশমুণ্ডা এলাকাটি রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে।‌ আর পূর্ব রেল এই কুয়োটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে।

যদিও এটা পরিস্কার নয় যে সত্যিই ওই কুয়োর জলে কোনও ওষধিগুণ আছে কিনা। তবে এখনও মানুষের বিশ্বাস ওই জল ম্যাজিকের মত কাজ করে। আর সেজন্য তার জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট।

তবে পাথরের দেওয়াল করে ঘেরা এই কুয়ো এখন ছাউনি পেয়েছে। সুন্দর করে তার রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। অনেকে জল নেওয়ার পাশাপাশি এই কুয়ো দেখতেও হাজির হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *