National

দেহের বিশেষ অংশ বিক্রি করে স্বামীর হাতে ধরা পড়লেন স্ত্রী ও শাশুড়ি

স্বামীকে না জানিয়েই চলত দেহের বিশেষ অংশ বিক্রি। স্ত্রী যে একাজ করেন তা স্বামীর জানা ছিলনা। জানা ছিলনা স্ত্রীকে একাজে মদত দিচ্ছেন তাঁর শাশুড়ি।

ওই ব্যক্তির দাবি শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। তারপর থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত অনেকবার দেহের বিশেষ অংশ বিক্রি করেছেন তাঁর স্ত্রী।

কখনও নিজের বয়স লুকিয়ে, কখনও ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে, কখনও স্বামীর সই নকল করে বেশ চলছিল। তাঁর স্ত্রীকে একাজে পুরোদমে সহায়তা করতেন তাঁর মা। শাশুড়িই যে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তাও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।

দেহের ওই অংশ বিক্রি ভারতে আইনত নিষিদ্ধ। স্ত্রী দেহে যে ডিম্বাশয় বা ওভারি থাকে তার মধ্যে থাকে প্রজননের প্রয়োজনীয় ওসাইট। প্রচুর ওসাইট থাকে সেখানে। এগুলিকে সাধারণভাবে ডিম বলা হয়।

এই ওসাইট ভারতে বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে একাজ চালাচ্ছিলেন। স্ত্রী যে তাঁর ওসাইট বিক্রি করেন তা প্রথমে না জানলেও পরে স্বামী তা জেনে ফেলেন।

আমেদাবাদের বাসিন্দা রসিক ছাবড়া স্ত্রীর এই কাণ্ড জেনে প্রতিবাদও করেন। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তিনি রুখে দাঁড়াতে তাঁর স্ত্রী অনিতা ও শাশুড়ি হংসাবেন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। রসিককে সাফ জানানো হয় একথা যেন তিনি কাউকে না বলেন।

যদিও রসিক ছাবড়া পুলিশের কাছে স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ অনিতা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *