National

মাথায় চুল গজাতে গিয়ে এই মূল্য দিতে হবে ভাবতেও পারেনি পরিবার

বাড়ির ছেলে ঠিক করেছিলেন মাথায় চুল কম, তাই বিশেষ পদ্ধতিতে চুল গজাবেন। কিন্তু তার ফল যে এমন হতে পারে তা ভাবতেও পারেনি পরিবার।

মাথায় চুল যাঁদের কম তাঁদের অনেকে একটা মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। কেন তাঁর চুল নেই, কেন টাক পড়ে যাচ্ছে, এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এজন্য অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।


এখন আবার বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে দেওয়ালে পোস্টার সহ নানাভাবে মানুষকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সম্বন্ধে অবগত করা হয়। বিভিন্ন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সংস্থা এসব করে থাকে ব্যবসার জন্য।

টাক মাথায় চুল গজানোর আশায় অনেকে বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করে সেখানে উপস্থিতও হন। এজন্য মোটা টাকা খরচও করেন। কিন্তু তার ফল কি সবসময় ভাল হয়? সত্যিই কি এক মাথা ঘন কালো চুল নিয়ে তাঁরা সুখে জীবনটা কাটাতে পারেন? হয়তো না। কারণ তার এক ভয়ংকর উদাহরণ সামনে এল।



আথার রশিদ নামে এক ৩০ বছরের যুবক মাথায় চুল গজানোর টানেই হাজির হয়েছিলেন একটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিকে। রশিদের পরিবারের দাবি, সেখানে ২ জন তাঁর এই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করেন। তবে যেমন তেমন করে তা করা হয়।

বাড়ি ফেরার পর রশিদের সারা শরীরে ফুসকুড়ির মত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভীষণ যন্ত্রণা হতে থাকে তাঁর। খুব দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রশিদ।

বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী ছেলের এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। মা ও বোন বিশ্বাস করতে পারছেন না রশিদ নেই। পুলিশে তাঁরা অভিযোগও দায়ের করেছেন।

রশিদের মায়ের দাবি, এসব হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট আসলে বুজরুকি। এভাবে যাতে অন্য কোনও মায়ের কোল ফাঁকা না হয় সেজন্য সকলকে সতর্ক করতে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button