National

বাঁদরের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে এবার অভিনব পন্থা নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ

বাঁদরদের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। এমনকি কামড়ও বসিয়ে দিচ্ছে তারা। জিনিসপত্র কেড়ে নিচ্ছে। এই অবস্থায় এক অভিনব পথে হাঁটল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

বাঁদররা শহর জুড়েই উপদ্রব বাড়িয়ে চলেছে। একই পরিস্থিতি হয়েছে মেট্রো স্টেশনগুলির। সেখানেও বাঁদরদের উপদ্রবে যাত্রীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কখনও কামড়ে দিচ্ছে। কখনও লাফিয়ে পড়ছে। কখনও জিনিসপত্র হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছে।

বাঁদরদের ভয় দেখাতে এর আগে একটি পন্থা নিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বাঁদররা লেঙ্গুড়দের ভয় পায়। সেই কথা মাথায় রেখে মেট্রো কর্তৃপক্ষ রেগে থাকা লেঙ্গুড়ের আওয়াজ রেকর্ড করে তা স্পিকার দিয়ে স্টেশনগুলিতে বাজাচ্ছিল। তাতে সামান্যই কাজ হয়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দ্রুত বাঁদররা বুঝে যায় যে ওগুলো লেঙ্গুড়ের আওয়াজ মাত্র, কাছেপিঠে কোনও লেঙ্গুড় নেই। এমনকি লেঙ্গুড়দের মূত্রও ছড়িয়ে বাঁদরদের তাড়ানোর চেষ্টা হয়। তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি। অবশেষে নবাবের শহরে নতুন পন্থা নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

লেঙ্গুড়কেই তারা কাজে লাগাল। তবে একটু অন্যভাবে। এবার স্টেশনে স্টেশনে লেঙ্গুড়ের কাট আউট বসাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রেগে থাকা লেঙ্গুড়ের কাট আউটের পাশাপাশি লেঙ্গুড়ের রাগান্বিত স্বরও বাজাবে তারা।

এবার বাঁদররা লেঙ্গুড়ের কাট আউটে লেঙ্গুড়কে দেখতেও পাবে। তাতে যদি ভয় পায়। ইতিমধ্যেই লখনউয়ের কয়েকটি স্টেশনের কাছে এই কাট আউট বসেছে। স্থানীয়দের দাবি এতে কাজও কিছুটা হয়েছে।

ভয়ে দেদার দৌড় দিয়ে না পালালেও কাছেপিঠে ঘেঁষতে ভয় পাচ্ছে বাঁদরের দল। এই উপায় এখন যতদিন কাজে দেয় তা কাজে লাগানো চলবে। পরে যদি বাঁদররা এই কারসাজিও ধরে ফেলে তাহলে ফের নতুন করে বাঁদর তাড়ানোর উপায় ভাবতে হবে সকলকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *