National

মন্ত্রীর হাতে চড় খেয়েও তাঁরই পায়ে পড়লেন মহিলা

মন্ত্রীর হাতে চড় খেলেন এক মহিলা। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে। যে চড় মারার ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে।

জমির সত্ত্ব প্রদান অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আবাসনমন্ত্রী। তিনিই নিজে হাতে করে জমির সত্ত্ব তুলে দিচ্ছিলেন যোগ্য গ্রামবাসীদের হাতে। যে তালিকায় ১৭৫ জনের নাম ছিল।

তাঁদের হাতে সেই সত্ত্ব প্রদানের পর মন্ত্রীর সামনে হাজির হন ওই গ্রামেরই এক মহিলা। ওই মহিলার দাবি, তিনি মন্ত্রীর কাছে দরবার করতে গিয়েছিলেন যে তাঁর নামও ওই জমি প্রাপকদের তালিকায় তুলে দিতে। যাতে তিনিও জমির সত্ত্ব পেতে পারেন।

একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে ওই মহিলা যখন মন্ত্রীর কাছে দরবার করছেন তখন মন্ত্রী তাঁর গালে চড় কষিয়ে দেন। এরপরটা আরও চমকপ্রদ।

সকলের সামনে মন্ত্রীর হাতে চড় খাওয়ার অপমান ভুলে চড় খাওয়ার পরই মহিলা সোজা মন্ত্রীর পায়ে পড়ে যান। এরপর আশপাশে থাকা লোকজন ওই মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

যদিও কর্ণাটকের আবাসনমন্ত্রী চড় মারার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি দাবি করেছেন আসলে তিনি ওই মহিলাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যাতে তিনি তাঁর পায়ে না পড়তে পারেন। সকলকে আরও হতবাক করে কেম্পাম্মা নামে ওই মহিলাও জানিয়েছেন তাঁকে মন্ত্রী চড় কষাননি।

বিষয়টি অবশ্য এখানেই থেমে নেই। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ওই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। কর্ণাটকে এখন রাজ্য শাসনের দায়িত্বে বিজেপি। সেই বিজেপি মন্ত্রীর এমন আচরণের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেসের আবেদন যেন ওই মন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়।

কারণ প্রধানমন্ত্রীই মহিলাদের সম্মান প্রদর্শনের কথা বলেন। কংগ্রেস যে কর্ণাটকেও এই ইস্যু নিয়ে আগামী দিনে সুর চড়াতে পারে তেমন ইঙ্গিতও মিলল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *