National

দেশেই মিলল অমূল্য সম্ভার, কয়েকশো বছর পুরনো খোদাই করা পাথর

এও এক অনন্য আবিষ্কার। যা করে ফেললেন কয়েকজন অধ্যাপক ও তাঁদের সঙ্গী কয়েকজন ছাত্র। কিন্তু তাঁরা যা খুঁজে পেলেন তার ঐতিহাসিক মূল্য মাপা যায়না।

কাছেপিঠের মন্দিরগুলির ওপর কাজ করছিলেন তাঁরা। তখনই নজরে পড়ে বিষয়টি। কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপকেরা ও তাঁদের ছাত্ররা লক্ষ্য করেন মন্দিরের গায়ে এমন কিছু পাথর খণ্ড লাগানো রয়েছে যার ওপর রয়েছে নানা ছবি। কোনওটায় সূর্য, কোনওটায় চাঁদ, কোনওটায় বৈষ্ণব প্রতীক তো কোনওটায় পদ্ম।

এদিকে শুধু এগুলি বলেই নয়, ছবিগুলির তলায় রয়েছে কিছু লেখাও। তবে লেখাগুলি এমনভাবে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝাপসা হয়ে গেছে যে তা পড়া কার্যত দুঃসাধ্য।

তবে তার ঐতিহাসিক মূল্য যে রয়েছে তা দেখেই অনুমান করতে পারেন তাঁরা। যদিও মন্দিরের গায়ে সেই পাথরগুলি হেলায় লাগানো ছিল। যাঁরা সেগুলি মন্দিরের গায়ে লাগিয়ে দেন তাঁরা তার মূল্য বুঝে উঠতে পারেননি।

তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের মান্নার তিরুমালাই কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্ররা গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারেন যে ওই খোদাই করা পাথর খণ্ডগুলি আসলে পাণ্ডিয়া মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর মন্দিরে লাগানো ছিল।

মন্দিরটি পরে ভগ্ন দশায় চলে গেলে এসব পাথর খুলে নিয়ে স্থানীয়রা বিনয়গড় মন্দিরে লাগিয়ে দেন। তাঁরা বুঝতে পারেননি ওই পাথরগুলির গুরুত্ব।

গবেষকেরা জানাচ্ছেন ওই পাথরের খণ্ডগুলি ৪০০ বছর পুরনো। নায়েক রাজবংশের সময় এই পাথরগুলির ওপর খোদাই কাজ করা হয়েছিল। এমন আরও পাথর আশপাশে রয়েছে কিনা তা জানতে এখনও মাদুরাইয়ের থেনি এলাকায় খোঁজ শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button