National

সন্তানকে বাঁচাতে বাঘের সঙ্গে খালি হাতে মরণপণ লড়লেন মা

মা তাঁর সন্তানের জন্য কি করতে পারেন তার প্রমাণ ফের মিলল। এক মা সন্তানকে বাঘের হাত থেকে রক্ষা করতে বাঘের সঙ্গে খালি হাতে লড়লেন।

তখন রাত। ১৫ মাসের শিশুটি ঘরে থাকতে না পারায় তাকে শান্ত করতে তাকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন মা। ঘরের বাইরে সামনেই ক্ষেত। সেখানে যে মূর্তিমান বিভীষিকার মত বাঘটি লুকিয়ে আছে তা ওই ২৫ বছরের তরুণী টেরও পাননি।‌

তিনি সন্তানকে শান্ত করতে করতে ক্ষেতের দিকে এগিয়ে যান। আর তখন শিশুটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। শিশুটিকে কামড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।


বাঘের মুখে নিজের সন্তানকে ঝুলতে দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি মা। ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঘের ওপর। যাতে সে শিশুটিকে নিয়ে পালাতে না পারে। বাঘের সঙ্গে তাঁর লড়াই শুরু হয়।

বাঘ থাবা চালিয়ে ওই তরুণীকে হটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তরুণী আঘাত পেয়েও কিছুতেই বাঘটিকে যেতে দেননি। এদিকে তরুণীর চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন সেখানে হাজির হন।

এত লোক দেখে অবশেষে শিশুটিকে মুখ থেকে ফেলে দেয় বাঘটি। তরুণীও তাকে ছেড়ে দেন। বাঘ ছুট লাগায় জঙ্গলের দিকে।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের কাছে। মনে করা হচ্ছে অভয়ারণ্য থেকেই কোনওভাবে বেরিয়ে বাঘটি লোকালয়ে চলে এসেছিল।

এদিকে ২৫ বছরের অর্চনা চৌধুরি ও তাঁর সন্তান, ২ জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মা অর্চনার বুকে গভীর ক্ষত রয়েছে। এছাড়া দেহের অনেক জায়গায় থাবার আঘাতে ক্ষত রয়েছে। শিশুটিরও কোমরের কাছে ক্ষত রয়েছে। ২ জনই আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button