National

উপচে গেল গঙ্গা, জলের তলায় মন্দির থেকে বসত বাড়ি

গঙ্গার জল হুহু করে ঢুকছে বিভিন্ন এলাকায়। ডুবিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের গঙ্গার ধারের সুন্দর বাড়ি। ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছেন মানুষজন।

গঙ্গার ধার ধরে বাড়ি আর মন্দিরের সারি এখন কার্যত জলের তলায়। গঙ্গার জল বর্ষায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফলে যেখানে সারা বছর জল থাকে তা আর সেখানে নেই। বরং আরও অনেক ফুট ওপরে উঠে তা গঙ্গা পারের সিঁড়ি পার করে এখন রাস্তায় পৌঁছে গেছে। ফলে গঙ্গার ধারে যে বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলির একতলা জলের তলায় চলে গেছে।

জলস্তর আরও বাড়ছে। ফলে সে বাড়িতে আর থাকার উপায় থাকছে না বাসিন্দাদের। অনেকে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কাউকে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন। প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের ভিটে ছেড়ে এখন আশ্রয় নিতে হয়েছে আত্মীয়দের বাড়ি অথবা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে।

গঙ্গা বিপদসীমার ওপর দিয়ে তো বইছেই। সেইসঙ্গে জল ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গঙ্গার ধারের সারি সারি মন্দিরে এখন আর যাওয়ার উপায় নেই। কারণ তার অনেকগুলিই গঙ্গার জলে অনেকটা ডুবে গেছে।

বারাণসী শহরের গা দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার এই ভয়াল রূপ দেখে এখন কার্যত প্রমাদ গুনছেন মন্দির শহরের গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দারা। ছেড়ে আসা বাড়ির কি অবস্থা হয়েছে তা ভেবে তাঁদের রাতের ঘুম উধাও হয়েছে।

অবশ্য গঙ্গার এই রূপ কমবেশি প্রতিবছরই নজর কাড়ে। তাই মানসিক একটা প্রস্তুতি তাঁদের থাকে। তবু জল কবে সরবে, কবে তাঁরা ফের বাড়ি ফিরতে পারবেন তা নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা তো থেকেই যায়।

গঙ্গার জল বাড়ায় বরুণা নদীও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে বারাণসীর গা দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীও মানুষের বিপদের কারণ হয়ে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *