National

বাবার মৃত্যুর ২৪ বছর পর হাসপাতাল থেকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মেয়ে

বাবার মৃত্যুর ২৪ বছর কেটে গেছে। তাঁর মৃত্যুর পর ২৪ বছর আইনি লড়াইয়ের শেষে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন মেয়ে।

বাবা ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী। পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত। পেশায় অধ্যাপক। সেই মানুষটি অ্যানজাইনা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকেই তিনি অ্যানজাইনায় আক্রান্ত। ১৯৯৮ সালে তাঁকে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।

২ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয়। আর তাঁর মৃত্যু হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। বাবার মৃত্যুকে কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি মেয়ে। তিনি সোজা হাজির হন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে। সেখানে তিনি তাঁর বাবার মৃত্যুর কারণ হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের গাফিলতি বলে দাবি করেন।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

অধ্যাপক রণবীর সিং বিস্তের মৃত্যুর কারণ হিসাবে মেয়ে পুষ্পিতা বিস্ত দাবি করেন তাঁকে ভুল চিকিৎসা এবং ভুল ওষুধ দেওয়া হয়। তাঁর আরও দাবি বাড়ির লোকজনকে না জানিয়েই অধ্যাপকের দেহ থেকে পেসমেকার বার করে নেওয়া হয়। শুরু হয় তদন্ত।

উত্তরপ্রদেশের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর পুরো বিষয়টি সম্বন্ধে সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর কাছে জানতে চায়। কিন্তু কোনও সদুত্তর হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।

এরপর সেই তদন্ত ও সওয়াল জবাব চলে ২৪ বছর ধরে। কিন্তু হাল ছাড়েননি পুষ্পিতা। সেই কঠিন ও দীর্ঘ লড়াইয়ের সুফল অবশেষে পেলেন তিনি।

হাসপাতালের তরফে যে গাফিলতি ছিল তা প্রমাণ হওয়ার পর পুষ্পিতাকে ১৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। তাও আবার সেই ১৯৯৮ সাল থেকে ১০ শতাংশ সুদ সমেত।

এছাড়া হাসপাতালের এই গাফিলতির ফলে যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে পুষ্পিতা বিস্তকে যেতে হয়েছে তারও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন তিনি। এই বাবদ ২০ লক্ষ টাকা এবং এক্ষেত্রেও সেই ১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ওই টাকার ওপর বছরে ১০ শতাংশ সুদের হারে সুদ সহ যে টাকা হয় তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালকে। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *