National

কেউ না চড়া পাহাড়ের চুড়ো ছুঁতে অজানা পথে ২ কন্যা, লক্ষ্য আরও মহৎ

কেবল পাহাড়ে চড়াই লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য আরও মহৎ। তবে সেই লক্ষ্য পূরণে এখন তাঁদের লক্ষ্য এমন এক পাহাড়ের চুড়ো যেখানে কেউ কখনও পৌঁছয়নি।

একজন পেশায় মহাকাশ বিজ্ঞানী। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত। তাঁর শখ পাহাড়ে চড়া। অন্যজন সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে আসা মহিলা। সেইসঙ্গে ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বিশ্বের ৭টি উচ্চতম পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে আসার বিরল সাফল্য।

এবার এই ২ কন্যা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেন। তাঁরা স্থির করেছেন ১০০টি হত দরিদ্র কন্যার জীবন বদলে দেবেন। অতি মহৎ লক্ষ্য তাঁদের। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণে অর্থের প্রয়োজন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তাঁরা স্থির করেছেন ১ লক্ষ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি, তা তুলবেন তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করতে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার তাঁরা একদম অজানা পথে পা বাড়িয়েছেন।

তেলেঙ্গানার এই ২ কন্যা কাব্য মানিয়াপু এবং পূর্ণা মালাভাথ পাড়ি দিয়েছেন লাদাখের লেহ–তে। লেহ-তে অবস্থিত একটি পাহাড়কে পাখির চোখ করেছেন তাঁরা।

পাহাড়টিতে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনওদিন চড়েননি। এমনকি এই পাহাড়টির কোনও নামও নেই। প্রসঙ্গত হিমালয়ের অগুন্তি পাহাড় সারির সবকটির যে নাম আছে এমনটা নয়।

তেমনই একটি অচেনা পাহাড়ের চুড়ো ছোঁওয়া মুখের কথা নয়। কারণ কেউ জানেন না ৬ হাজার ২০০ মিটার উঁচু পাহাড়টির মাথায় চড়ার পথে কত অজানা ঝুঁকি ওত পেতে আছে।

তবু মহৎ লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে মহাকাশ বিজ্ঞানী কাব্য এবং পর্বতারোহী পূর্ণা জীবন বাজি রেখে এগিয়ে চলেছেন। ১০০ কন্যার জীবন বদলে দেওয়ার প্রকল্প ‘শক্তি’-কে আলো দেখাতে ২ কন্যার এই দুঃসাহসিক অভিযানে শুভেচ্ছা থাকছে সকলের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *