National

৪৩ লক্ষ টাকার বিরিয়ানি, বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ

বিরিয়ানি যদি সেরার সেরা দোকান থেকেও নেওয়া হয় তাহলেও ৪৩ লক্ষ টাকার বিরিয়ানি খাওয়া কি সম্ভব, বিল দেখে মাথায় হাত সকলের।

বিরিয়ানি অধিকাংশ মানুষেরই অন্যতম প্রিয় খাবার। ফুটবলাররাও তার ব্যতিক্রম নন। একটি রাজ্যের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে তাদের ফুটবলারদের খাওয়া দাওয়ার জন্য তারা ৪৩ লক্ষ টাকার বিরিয়ানি কিনেছে! যা কেনা হয়েছে শ্রীনগরের একটি দোকান থেকে। যার নাম মোঘল দরবার।


সাধারণ বিরিয়ানির দোকানে তারা নাকি ৪৩ লক্ষ টাকার বিল মিটিয়েছে কেবল বিরিয়ানি কিনতে। জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো-র আধিকারিকরা এই বিল দেখার পর প্রথমেই একটা কথা বলে ফেলেছেন। এমন বিরিয়ানি কেউ কাউকে খেতে দেখেছেন কি?

এমনকি ভাল করে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে এমন অঙ্কের বিরিয়ানি কখনও কেনা হয়নি। বিলটাই ভুয়ো। না এমন বিরিয়ানি কেউ দেখেছেন, না খেয়েছেন। দাবি করেছে এসিবি।



এখানেই অবশ্য শেষ নয়। একটি স্টেশনারি অ্যান্ড হার্ডওয়ার-এর দোকানের বিলও মিলেছে জম্মু কাশ্মীর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে। এসিবি আধিকারিকরা দেখেন বিল হয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩০০ টাকার। যা তারা মিটিয়েছে।

জন হার্ডওয়ার শপ থেকে এই বিল দেওয়া হয়েছিল। দেখানো হয়েছে দোকানকে টাকা মেটানোও হয়ে গেছে। তবে এসিবি খতিয়ে দেখেছে এমন কোনও দোকানই নেই। বিল সম্পূর্ণ ভুয়ো দোকানের নাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এভাবে একের পর এক বিল আর তাতে গরমিল দেখে তাজ্জব এসিবি আধিকারিকরা। এভাবে যে একটা রাজ্য ফুটবল সংগঠন কারচুপি করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছেন রাজ্যের ফুটবল মহলও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button