National

তরল নাইট্রোজেন ফুটো করে দিল পাকস্থলী, মরতে মরতে বাঁচলেন যুবক

বছর ৩০ বয়স। কাজের পরে দিল্লির একটি বারে গিয়েছিলেন সন্ধেয় সুরাপাত্রে মন ভরাতে। ঢুকেই দেখলেন সামনে রাখা একটি গ্লাসে লাল ককটেল। তা দিয়ে ধোঁয়া বার হচ্ছে। এক অদ্ভুত মোহময় টান তার। সময় নেননি ওই ব্যক্তি। এক ঢোঁকেই সাবার করে দেন গোটা গ্লাস। ভাবলেন সন্ধের শুরুটা দুর্দান্ত হল বটে। কিন্তু মাত্র কয়েক মুহুর্তের অপেক্ষা। তারপরই বুঝলেন তিনি শারীরিক অস্বস্তিতে ভুগছেন। পেটটা কেমন যেন ফেঁপে গেছে। তাতে অবশ্য দমেননি তিনি। বার টেন্ডারের কাছ থেকে আরও একটি সুরা ভর্তি গ্লাস পেটে চালান করে দেন। এরপর অবশ্য আর দাঁড়িয়েও থাকতে পারেননি। প্রবল শ্বাসকষ্ট আর পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় অচেতন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষার পর অবাক। দ্রুত অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। পরে চিকিৎসক বলেন, ওই ব্যক্তির পাকস্থলীতে বড় ফুটো হয়ে গিয়েছে। ফুটোটা এতটাই বড় যে মনে হচ্ছে একটা খোলা বই। আপাতত অপারেশনের পর কিছুটা সুস্থ ওই ব্যক্তি। কিন্তু কী হয়েছিল যে পাকস্থলী ছেঁদা হয়ে গেল? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বারে ঢুকেই যে ধোঁয়া ওঠা ককটেল ওই ব্যক্তি এক ঢোঁকে পেটে চালান করেন সেটা তরল নাইট্রোজেন। ওটা পান করার নিয়ম হল যতক্ষণ ধোঁয়া উঠবে, ততক্ষণ অপেক্ষা। ধোঁয়া ওঠা সম্পূর্ণ বন্ধ হলে তবেই তা জিভে ঠেকানো উচিত। কিন্তু তিনি তা করেননি। ধোঁয়া ওঠা অবস্থায় তরল নাইট্রোজেন পাকস্থলীতে পৌঁছতেই তা পাকস্থলীতে ছেদ তৈরি করে। আপাতত যা অবস্থা তাতে সাধ করে তিনি সুরাপাত্রে আর কোনওদিন চুমুক দিতে পারলে হয়!

 


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *