National

অ্যান্টিবায়োটিক শুধু অসুখই সারায় না, দূষণও ছড়ায়

অনেক রোগ সারাতে চিকিৎসকদের বড় ভরসা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। কিন্তু সেই অ্যান্টিবায়োটিক একাধারে যেমন অসুখ সারায়, তেমন আবার দূষণও ছড়ায়।

অ্যান্টিবায়োটিক শব্দটা অনেকের কাছেই পরিচিত। অবশ্যই তার কারণ ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট অনেক ক্ষেত্রেই অসুখ সারাতে চিকিৎসকেরা প্রেসক্রাইব করেন। তাতে কাজও হয়।

কোর্স মেনে ওষুধ খেয়ে অনেকেই রোগ থেকে সেরে ওঠেন। ফলে এককথায় সাধারণ মানুষের কাছে অ্যান্টিবায়োটিক একটা দ্রুত রোগমুক্তির বিশল্যকরণী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

একটা বড় ভরসার নাম অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু সেই অ্যান্টিবায়োটিক অসুখ যেমন সারায় তেমন দূষণও ছড়ায়। শুনতে একটু অবাক করা লাগলেও এটাই সত্যি। আর তার প্রমাণ মিলেছে ভারতেই।

ভারতে নদীকে ঈশ্বর জ্ঞানেই সম্মান করা হয়। আবার সেই নদীর জলে দূষণও ছড়ায়। সাধারণ মানুষও জানেন বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য পদার্থ, নর্দমার জল, প্লাস্টিক ভারতের বিভিন্ন নদীকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সেখানে স্নান করতে নেমে অনেকের ত্বকের সমস্যা হচ্ছে।

কিন্তু অনেকেই জানেন না এমন বেশ কিছু নদী রয়েছে যার জলে মিশে আছে অ্যান্টিবায়োটিক। আর তা নদীতে দূষণ ছড়াচ্ছে। মানুষের অসুস্থতার কারণ হচ্ছে।

একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যমুনা, গোমতী, জুয়ারি এবং কুম নদীর জলে মিশে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। যা এসব নদীর জলে চূড়ান্ত দূষণ ছড়াচ্ছে।

যমুনার জলে পাওয়া গেছে ওফ্লক্সাসিন, সালফামেথক্সাজোল নামে ২টি অ্যান্টিবায়োটিক। গোয়ার জুয়ারি নদীর জলে পাওয়া গেছে নরফ্লক্সাসিন নামে অ্যান্টিবায়োটিক।

আবার লখনউয়ের ধার দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদী বা চেন্নাইয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুম নদীর জলে পাওয়া গেছে ওফ্লক্সাসিন। এগুলি সবই বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানা থেকে বার হওয়া বর্জ্য থেকে নদীর জলে মিশেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *