National

অমর হতে চান স্বামী, তাঁকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে দিলেন স্ত্রী

স্বামী জানিয়েছিলেন তিনি অমর হতে চান। তিনি নিজেই জানান তাঁকে যেন জীবন্ত মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। স্বামীর ইচ্ছা মেনে সেটাই করলেন স্ত্রী।

বেশকিছু সময় ধরেই তিনি বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি এও দাবি করছিলেন যে তাঁর সঙ্গে ঈশ্বরের সরাসরি যোগাযোগ হয়।


নিজের বাড়ির পিছনের জমিতে তিনি একটি মন্দিরও বানিয়েছিলেন। সেখানে আগত ভক্তদের কয়েকজনকে তিনি দীক্ষাও দেন। তাঁরা তাঁর শিষ্যে পরিণত হন। এভাবেই চলছিল। গত ১৬ নভেম্বর তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়।

বুকে ব্যথা শুরু হতে চেন্নাইয়ের পেরামবাকাম এলাকার বাসিন্দা ৫৯ বছরের নাগরাজ তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীকে ডেকে বলেন, তিনি যেন তাঁকে এই অবস্থায় জীবন্ত মাটিতে সমাধিস্থ করেন। তাহলে তিনি অমর হতে পারবেন।



স্বামীর কথায় রাজি হয়ে যান ৫৫ বছরের লক্ষ্মী। তিনি ২ জন শ্রমিককে ডেকে বলেন তিনি একটি জল ধরে রাখার জায়গা বানাবেন। তাই তাঁরা যেন মাটিটা কিছুটা খুঁড়ে দেন।

সেইমত ২ শ্রমিক মাটি খুঁড়ে দিয়ে চলে যান। ১৭ নভেম্বর বুকে ব্যথা নিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়া স্বামীকে তুলে ওই মাটি কাটা অংশে ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দেন লক্ষ্মী।

স্বামীর নির্দেশ মেনেই এই কাজ করেন। কিন্তু এরপর মেয়ে এসে বাবাকে খুঁজে না পেয়ে প্রশ্ন করতে তাঁর কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মেয়ের সন্দেহ হওয়ায় বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন। অবশেষে লক্ষ্মী সবকথা খুলে বলেন। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করে। নাগরাজের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই প্রমাণিত হবে তাঁকে জীবন্ত সমাধিস্থ করা হয়েছিল কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button