National

বন্ধ হচ্ছে গঙ্গায় নর্দামার জল ফেলা

গঙ্গায় সরাসরি নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন শহরের নর্দমার জল। যা গঙ্গা দূষণের অন্যতম কারণ। তা এবার বন্ধ হতে চলেছে।

গঙ্গার দূষণ নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। এজন্য অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বিভিন্ন শহরের নর্দমার জল সরাসরি গঙ্গার জলে গিয়ে পড়া।

সারা শহরের নোংরা জল গঙ্গায় সরাসরি পড়তে থাকায় গঙ্গার জল অনেক জায়গায় এতটাই দূষিত যে তা ব্যবহারও করতে চান না স্থানীয় মানুষ। স্নান পর্যন্ত করা মুশকিল হয়।


গঙ্গা ভারতের কেবল একটি নদীই নয়, অন্যতম প্রধান নদী এবং তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গা দূষণ রোধে নমামি গঙ্গে নাম দিয়ে একটি প্রকল্পও শুরু করেছে। তবে এবার বিহারের ভাগলপুর শহরে এক নয়া উদ্যোগ গৃহীত হল।

ভাগলপুরের নর্দমার জয় সরাসরি গঙ্গায় পড়ে। যা গঙ্গাকে দূষিত করছে। তাই সেখানে আগামী দিনে নর্দমার জল আর সরাসরি গঙ্গায় পড়বে না।

দূষিত সেই জলকে পরিস্রুত করতে সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে নর্দমার জল প্রথমে পরিশ্রুতি-করণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবে।

এজন্য একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। কেন্দ্রের জল শক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে ৩টি পক্ষ হল ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা, বিহার আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং আদানি এন্টারপ্রাইজ ও হাঙ্গেরির একটি সংস্থার মধ্যে।

পিপিপি মডেলে এই কাজ হবে। ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি গড়তে খরচ পড়বে ৩৮৫ কোটি টাকা। এই উদ্যোগ কার্যকরী হলে তা গঙ্গা যে যে শহরের ওপর দিয়ে গেছে তাদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করবে।

এই ব্যবস্থা সব জায়গায় শুরু হলে গঙ্গার জলে দূষণমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button