National

কোনও মায়ের পক্ষে এতদিন সব জেনে চুপ থাকা সম্ভব দেখে অবাক পুলিশও

সব জেনেশুনে এতদিন কি করে চুপ করে থাকলেন এক মা। এটাও একটা বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসছে। পুলিশও কিছুটা অবাক।

অগাস্টের প্রায় শেষ। কয়েকদিন আগের কথা। পুলিশ স্টেশনে এসে এক মা জানান তাঁর ছেলে নিখোঁজ। ১০ বছরের ছেলে নিখোঁজ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বলে পুলিশকে জানান তিনি।

ওই মহিলার সঙ্গে ছিলেন এক যুবক ও যুবতী। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে ঠিকই, কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনা এতদিন ধরে ১০ বছরের সন্তানকে না খুঁজে পেয়েও কীভাবে চুপচাপ রইলেন তার মা। কেন এতদিন পর পুলিশের কাছে এলেন তিনি।


পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ওই ৩ জনের ওপরই নজর রাখা শুরু করে। তারপর তাদের চাপ দিতেই আসল সত্য সামনে এসে পড়ে।

পুলিশ জানাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে ১০ বছরের ওই বালকের ঝগড়া হয়েছিল। তখন ওই বালককে একটা প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে মারে ওই যুবক। সেই মারেই মৃত্যু হয় তার।

তখন বাড়িতে কেউ ছিলনা। বালকের মৃত্যুর পর ওই যুবক দ্রুত ডেকে পাঠায় তার প্রেমিকা ও ওই বালকের মাকে। যাঁকে ওই যুবক-যুবতী অনেকদিন ধরেই চিনত।

বাড়িতে পৌঁছলে ওই যুবক তার প্রেমিকা ও বালকের মাকে সব খুলে বলে। এরপর ওই যুবক ও তার প্রেমিকা মিলে মৃত বালকের মাকে অনেক করে বোঝায় যেন তিনি এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানান। এই কাজে সফলও হয় তারা।

বালকের মা মেনে নেন যে এই হত্যার বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাবেন না। এরমধ্যে তামিলনাড়ুর কাছে একটি সুনসান জায়গায় বালকের দেহ ফেলে আসে যুবক ও যুবতী।

এরপর কেটে যায় ৬ মাস। এরমধ্যে অনেকেই বালকের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করেছেন তার মাকে। মাও নিখোঁজ বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কদিন আগে মনে হয় ছেলেটিকে নিখোঁজ বলা হচ্ছে, অথচ পুলিশকে কিছু জানানো হচ্ছেনা। এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

মানুষের সন্দেহ হতে পারে। তাই তারা পুলিশের কাছে হাজির হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিন্তু পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button