National

অন্ধ পিতামাতার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অটো চালাচ্ছে ৮ বছরের কৃষ্ণ

শ্রবণ কুমারের কাহিনি অনেকের জানা। কিন্তু বাস্তব জীবনে কী শ্রবণ কুমারকে দেখেছেন কেউ। এবার দেখা যাবে। গোপাল কৃষ্ণই আজকের দিনের জীবন্ত শ্রবণ কুমার।

অন্ধ পিতামাতাকে কাঁধে নিয়ে ঘুরতেন শ্রবণ কুমার। উপযুক্ত সন্তানের উদাহরণ যদি এ দেশে দেওয়া হয় তো শ্রবণ কুমারের কাহিনি তুলে ধরা হয়। সেই শ্রবণ কুমারের চেয়েও কম বয়সে বাস্তব জীবনের শ্রবণ কুমার হয়ে উঠেছে গোপাল কৃষ্ণ।


স্কুলে পড়ে সে। স্কুল ছাড়েনি। কিন্তু পরিবারের গুরু দায়িত্বও তার ওই ছোট্ট কাঁধে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণ তাই প্রতিদিন স্কুল শেষে গ্রামের রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে অটো নিয়ে।

গ্রামের ধুলো ভরা রাস্তায় সে ছুটে চলে সওয়ারি নিয়ে। তার থেকে হওয়া রোজগারটুকুই কার্যত তার পরিবারের বড় ভরসা।



বাবা-মা ২ জনই জন্মান্ধ। তাঁদের ৩ সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ বছরের কৃষ্ণই বড়। বাবা পাপি রেড্ডি অনেক কষ্টে ইএমআইতে একটি অটো কিনেছেন।

প্রতিমাসে তার ইএমআই শোধ করতে হয়। বাড়িতে আর রোজগার বলতে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৩ হাজার টাকা করে ভাতা। এর বাইরে গোটা পরিবার চলছে কৃষ্ণর অটো চালিয়ে রোজগারের অর্থে।

মুখে মাস্ক নিয়ে কৃষ্ণ কোনওদিন থেমে থাকেনা। পড়া নষ্ট হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বাবা-মা ও ছোট ভাইদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া যে তারই দায়িত্ব!

তাই করোনার মধ্যেও মুখে মাস্ক লাগিয়ে প্রতিদিন অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। অটোর চালকের আসনের একদম সামনে চলে যায়। যাতে তার ছোট ছোট হাত নাগাল পায় লম্বা হ্যান্ডলের।

অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোরের গাঙ্গুদুলুপালে গ্রামের ছেলে গোপাল কৃষ্ণর এই অটো চালানোর কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।

টিডিপি সভাপতি নারা লোকেশ জানিয়েছেন তিনি কৃষ্ণর পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button