National

দেশে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, বেড়েই চলেছে অ্যাকটিভ রোগী

মহারাষ্ট্র ও কেরালার হাত ধরে দেশে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দেশের এই রাজ্যের হাত ধরে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ।

নয়াদিল্লি : ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচেই থেকেছে। মার্চে তা প্রধানত ১৫ হাজারের ওপরই ঘোরাফেরা করছে। এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৭ জন।

মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় দেশে ক্রমশ সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে একটি নতুন স্টেন ধরা পড়ার পর পরিস্থিতি সেখানে ফের জটিল আকার নিচ্ছে। এদিন দেশে ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিন দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৩০৪ জনে। একদিনে বেড়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ জন।

এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে ১.৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।

ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা। কোনও দিন ১০০-র বেশি তো কোনও দিন কম হচ্ছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। বরং মাসের শেষের দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়েছিল।

মার্চেও সেই ১০০-র কাছাকাছিই ঘুরছে মৃতের সংখ্যা। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬৫৬টি। মৃত্যুর হার রয়েছে ১.৪১ শতাংশে।

গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত দিন ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ২৩৪ জন।

এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ১২৮ জন। সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশে পৌঁছেও এখন ফের তা নেমে ৯৬ শতাংশের ঘরে চলে এসেছে। এদিন সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৬.৯৮ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More