National

অনলাইন ক্লাস করতে প্রতিদিন ফোন নিয়ে পাহাড়ে চড়ছে পড়ুয়ারা

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনেই চলছে স্কুলের ক্লাস। সেই ক্লাস করতে এবার পাহাড়ও চড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের।

শিবাজে (কর্ণাটক) : করোনা পরিস্থিতিতে সব স্কুল বন্ধ। তাবলে পড়াশোনা বন্ধ নয়। স্কুলগুলি এখন অনলাইনে ক্লাস করিয়ে পড়াশোনা চালু রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিউ নর্মাল এই প্রবণতায় এখন কিছুটা অভ্যস্তও হয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। তবে ক্লাস করতে লাগছে নিদেনপক্ষে একটি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ। স্মার্টফোনে ক্লাস তো করছে কিন্তু অনেক সময় ইন্টারনেট যোগাযোগ মহা ফাঁপরে ফেলছে তাদের। অডিও ভিজুয়াল ক্লাস করার জন্য ইন্টারনেটের স্পিড যত হওয়ার কথা তা অনেকেই ঠিকমত পাচ্ছেনা। ফলে মহা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। অনেক সময় ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। যেমনটা ঘটছে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কিছু গ্রামে। ক্লাস করতে তাই হাড়ভাঙা খাটনি যাচ্ছে পড়ুয়াদের।

এখানকার উপকূলীয় এলাকার বেশ কিছু গ্রামে এখন পড়ুয়াদের কাজ হয়েছে সকাল হলেই কাছের কোনও পাহাড়ে চড়া। ঝুঁকিও থাকে। আবার পরিশ্রমও কঠিন। প্রতিদিন সকালে পাহাড়ে চড়া ছাড়া উপায়ই বা কি! ইন্টারনেট পেতে গেলে পাহাড়ে তাদের চড়তেই হবে। তাই সকাল সকাল তারা বেরিয়ে পড়ছে হাতে স্মার্টফোন নিয়ে পাহাড় চড়তে। পাহাড়ের চুড়োয় পৌঁছতে পারলে সেখানে ইন্টারনেট স্পিড ঠিকঠাক। ফলে ক্লাস করতে পারছে তারা। তারপর ক্লাস শেষ হলে পাহাড় থেকে নেমে আসছে তারা। ফিরছে বাড়িতে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

জঙ্গলঘেরা পাহাড়ি এলাকায় এখন ক্লাস করতে গেলে পাহাড়ে চড়া এক স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জঙ্গলঘেরা এসব এলাকার কিছু দূরেই রয়েছে আরব সাগর। আর যে পাহাড়ে পড়ুয়ারা দল বেঁধে ওঠে সেগুলি হল পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অংশ। সেসব পাহাড়ের কোনও একটায় এখন চড়ে পড়লেই হল। তাহলে ক্লাসটা অন্তত শান্তিতে করতে পারছে তারা। কিন্তু ইন্টারনেটের এমন শোচনীয় হাল কেন এখানে? এর পিছনে রয়েছে ভূগোল।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এলাকাটি এমনিতেই পাহাড়ি। তারওপর রয়েছে ঘন জঙ্গল। সেখানে অনেক উপত্যকা রয়েছে। যেখানে মানুষের বাস। ফলে এই জঙ্গলঘেরা উপত্যকা অঞ্চলে মোবাইল সিগনাল ঠিকমত পৌঁছতে বাধা পাচ্ছে এখানকার ভৌগলিক অবস্থানের জন্য। যা অনেক সময় ঠিকঠাক ইন্টারনেট সংযোগ পেতে দিচ্ছেনা। কিন্তু পাহাড়ে চড়লে সেখানে খোলা চারপাশ। ফলে সেখানে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *