বিয়ে করতে তর সয়নি, গ্রেফতার দেশি প্রেমিক ও বিদেশিনী প্রেমিকা
লকডাউনের মধ্যেই প্রেমিকাকে নিয়ে লুকিয়ে বাড়ি পৌঁছনোর চেষ্টা। নাটকীয় প্রচেষ্টায় জল ঢেলে গ্রেফতার ২ জনই।
পাত্রী রাশিয়ান। পাত্র হিমাচল প্রদেশের কুলুর বাসিন্দা। ২ জনই একে অপরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন। প্রেম পর্ব শেষ করে তাঁরা এবার চাইছিলেন বিয়ে করতে, সংসার পাততে। সব ঠিকঠাক। ঠিক ছিল বিয়ে হবে পাত্রের গ্রামের বাড়িতেই। সেখানেই সব আয়োজন করা হবে। আর ঠিক এর মধ্যেই আচমকা হাজির হল লকডাউন। মাথায় হাত পড়ল ২ জনের। তাহলে তো বিয়ে করতে গেলে লকডাউন উঠতে হবে। নাহলে ২ জন নয়ডা থেকে কুলু পৌঁছবেন কী করে? কিন্তু ২ জনে স্থির করেন, কবে লকডাউন উঠবে তার জন্য অপেক্ষা নয়। তাঁরা লুকিয়ে পৌঁছবেন পাত্রের বাড়ি কুলুর নিরমান্ডে।
লকডাউনে ২টি রাজ্যের সীমানা সিল করা রয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। সেইমত ফন্দি করে নয়ডার কার্ফু পাশ নিয়ে তাঁরা ২ জন বেরিয়ে একটি ট্রাক ধরেন। সেই ট্রাক যা হিমাচলে যাচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থাকলে তাকে কেউ আটকাবে না। তাতেই লুকিয়ে তাঁরাও পৌঁছে যাবেন কুলুতে। ফন্দি মতই তাঁরা হিমাচলমুখী একটি লরিতে উঠে লুকিয়ে পড়েন। চণ্ডীগড়-সিমলা জাতীয় সড়ক ধরে ট্রাক ছুট দেয়।
সিমলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শোঘি শহর। এই শহরে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ ট্রাকটিকে দাঁড় করায়। সেখানে ট্রাক তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। আর তা করতে গিয়েই তাদের নজরে পড়ে যায় রাশিয়ান তরুণী ও এক তরুণ লুকিয়ে আছেন লরির মধ্যে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেখানেই গ্রেফতার করে পুলিশ। লকডাউন ভেঙে অন্য রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ২ জনকে একাজ করতে সাহায্য করায় গ্রেফতার করা হয় ট্রাকের চালক ও খালাসিকেও। ওই রাশিয়ান তরুণীকে আপাতত ধালি-র কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এবং ওই যুবক সহ লরির চালক ও খালাসিকে শোঘির কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা