National

হবে ডিফেন্স এক্সপো, কাটা পড়তে চলেছে ৬৪ হাজার গাছ

এক আধটা নয়। ৬৩ হাজার ৭৯৯টি গাছ। প্রায় ৬৪ হাজার। যেখানে দেশজুড়ে দূষণ ক্রমশ বাড়ছে সেখানে ৬৪ হাজার গাছের নিধন যজ্ঞে সিলমোহর পড়ে গেছে। ফলে তাদের আর বাঁচার উপায় নেই। প্রথমে ঠিক হয়েছিল যে এই বিপুল সংখ্যক গাছকে কেটে মেরে ফেলার দরকার নেই। বরং এখান থেকে তুলে অন্যত্র সেগুলিতে ফের লাগিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু বন বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে এই বিশাল বিশাল গাছকে অন্যত্র তুলে নিয়ে গিয়ে লাগালে তা বাঁচবে না। আর এখন যে মরসুম চলছে সেই মরসুমে তো একেবারেই বাঁচানো সম্ভব নয়। ফলে এই ৬৪ হাজার গাছের অকাল মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

কেন এই বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা হতে চলেছে? সামনের বছর ফেব্রুয়ারিতে লখনউয়ের গোমতী নদীর ধারে অনুষ্ঠিত হবে ডিফেন্স এক্সপো। যেখানে তুলে ধরা হবে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে। লখনউতে ডিফেন্স এক্সপো এই প্রথম হতে চলেছে। লখনউ আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কেন্দ্রও বটে। ডিফেন্স এক্সপো করতে এখানে দরকার বিশাল প্রাঙ্গণ। সেজন্যই গোমতী নদীর ধার ধরে গাছ কেটে ফেলার জন্য লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একটি চিঠি পাঠিয়েছে লখনউ নগর নিগম-একর কাছে। তাদের আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব গাছ কেটে জমি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল-এর হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে। হনুমান সেতু থেকে নিশাতগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত এলাকা জুড়ে এই বৃক্ষ নিধন হবে।

এই বিশাল পরিমাণ গাছ কাটার পর অনুষ্ঠান তো হবে। তারপর কী হবে? যেটুকু জানা যাচ্ছে যে অনুষ্ঠানের পর এখানে ফের গাছ লাগানো হবে। কিন্তু পূর্ণতা প্রাপ্ত গাছ বহু বছরের পর এখন তার ডালপালা মেলেছে। নতুন করে বৃক্ষ রোপণ হলেও তা থেকে এই বিপুল সংখ্যক বড় গাছ তৈরি হতে অনেকটা সময় লাগবে। আর যেখানে লখনউ এমন একটা শহর যা দেশের প্রথম ১০টি দূষিত শহরে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এসব তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। গাছ কাটা একরকম নিশ্চিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *