National

শবনমকে বিয়ে করতে এবার আকাশ থেকে নেমে এল বর

স্কুলের সামনে ফাঁকা জমি। স্কুলেরই জমি। এখানেই বিশাল ভিড় জমেছিল গত রবিবার। সকলেই আকাশের দিকে চেয়ে আছেন। গ্রামবাসী থেকে কনের বাড়ির লোকজন। কখন বর নেমে আসবেন আকাশ থেকে সেই অপেক্ষায়। আর গ্রামবাসীরা এ জিনিস আগে দেখেননি। তাই তাঁরাও চর্মচক্ষে এমন কাণ্ড প্রত্যক্ষ করতে সব কাজ ফেলে অপেক্ষারত। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে আকাশ থেকে নেমে এল চপার। নামল এসে স্কুলের মাঠে তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে।

চপার থেকে বর নেম আসতেই ছুটে গেলেন কনের বাড়ির লোকজন। বরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হল। তাঁকে সাদরে নিয়ে আসা হয় বিবাহবাসরে। এভাবেই বিয়ে করতে আসার ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেন বর আসিফ খান। আসিফ খান নিজেই জানিয়েছেন প্রথাগতভাবে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে আসার রীতি থাকলেও তিনি চিরদিন বিয়ে করতে যাওয়াটা চপারে করার স্বপ্ন দেখতেন। সেকথা তিনি বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বাড়িতেও জানান। তাঁর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে বাড়ির তরফেও সব বন্দোবস্ত পাকা করা হয়।


তাঁর বাড়ির কাছ থেকে চপারে শ্বশুরবাড়ির গ্রামের স্কুলে নামা। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে চপার ভাড়া নিয়েছে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। এছাড়া স্কুলের জমিতে অস্থায়ী হেলিপ্যাড বানাতে পিডব্লিউডি নিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হেলিপ্যাডের কাছে উপস্থিত রাখা হয় ফায়ার ব্রিগেড ও অ্যাম্বুলেন্স। সেখানেও ২ হাজার টাকা করে ভাড়া বাবদ গুনতে হয়। খরচ হয়েছে। কিন্তু তাতে কী? শখ বড় জিনিস! রাজস্থানের গঙ্গাপুর কিন্তু এই বিয়ে অনেকদিন মনে রাখবে। আর আসিফের মনে থাকবে শবনমকে বিয়ে করতে যাওয়ার স্মৃতি। তাঁর স্বপ্ন পূরণের স্মৃতি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button