National

বন্দিদশা সহ্য হল না, বাঁচল না লাদেন

আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের নামানুসারেই নাম দেওয়া। নামটা স্থানীয় মানুষেরই দেওয়া। কারণ এই বুনো বেপরোয়া দাঁতাল হাতির অত্যাচার লাদেনের চেয়ে কম ছিলনা। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জীবন। খবর দেওয়া হয়েছিল বন দফতরের কাছে। মানুষের টেকা দায় করে দিয়েছিল লাদেন। কখনও ফসলে হানা, তো কখনও গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব। কখনও মানুষ তার আক্রমণের শিকার হতেন। এই অবস্থায় সকলেই চাইছিলেন যেভাবে হোক পাকড়াও করা হোক লাদেন নামে এই বেপরোয়া হাতিকে।

বন দফতর অনেক চেষ্টার পর অবশেষে গত ১১ নভেম্বর অসমের গোয়ালপাড়া জেলার রংজুলি ফরেস্ট ডিভিশন থেকে ৩৫ বছর বয়স্ক হাতিটিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়। প্রথমে তাকে ট্র্যাঙ্কুলাইজার দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়। তারপর হাতিটিকে নিয়ে আসা হয় অরেঞ্জ ন্যাশনাল পার্কে। গত ১২ নভেম্বর এখানে আনা হয় লাদেন নামে ওই হাতিটিকে। যদিও সেখানে তার নাম বদলে রাখা হয় কৃষ্ণা। সেখানেই বন্দি অবস্থায় ছিল হাতিটি।

বেপরোয়া বুনো হাতি। সে কারও বশ্যতা মানার পাত্র নয়। বন দফতর প্রথমে তাই স্থির করে তাকে জঙ্গলেই ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়ায় আপত্তি ছিল গ্রামবাসীদের। তাঁরা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। কারণ তাঁদের ভয় ছিল ছাড়া পেলেই ফের তার অত্যাচার শুরু করবে হাতিটি। এই চাপের মুখে বন দফতর অগত্যা হাতিটিকে বন্দি রাখারই সিদ্ধান্ত নেয়। এই বন্দিদশা তার সহ্য হল না। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বন দফতরের কর্মীরা। তবে বন্দি দশার কারণেই তার মৃত্যু, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button