National

বিশ্বে ১ নম্বর স্থান দখল করল দিল্লি, ৫ নম্বরে কলকাতা

বিশ্বের ১ নম্বরে উঠে এল দিল্লি। তবে তার পিছনে তাড়া করছে ভারতীয় উপমহাদেশেরই ৬টি দেশ। প্রথম ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে তারা। যারমধ্যে কলকাতা ৫ নম্বরে। এই পর্যন্ত শুনে যাঁদের গর্বে বুক ফুলে উঠছে তাঁদের জানিয়ে রাখি বিশ্বের মধ্যে বায়ু দূষণের নিরিখে এই স্থান প্রাপ্তি! ফলে তা গর্বের নয় লজ্জার! দিল্লির দূষণ তো এখন দেশ পার করে বিদেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রে জায়গা করে নিয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের নিরিখে এই স্থান প্রাপ্তি নির্ভর করে। দিল্লির একিউআই মেপে পাওয়া গিয়েছে তা ৫২৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর লাহোর। যার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই হয়েছে ২৩৪। দিল্লির তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ থেকেই পরিস্কার যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শহরের থেকে কী বিশাল পরিমাণ ফারাক নিয়ে প্রথম স্থানে দিল্লি। মনে রাখতে হবে এটা বিশ্বের নিরিখে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। একিউআই ১৮৫। তাসখন্দের বাতাসেই এই অবস্থা নিয়ে কিছুটা অবাক সকলেই। কারণ তাসখন্দ যেখানে অবস্থিত সেখানে মানুষের বসবাসও কম। দূষণও কম। সেই শহরে বাতাসের এমন দুর্দশা কেন তা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফের পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি। একিউআই ১৮০। এরপরেই পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা। একিউআই ১৬১। কলকাতার পিছনে ঢুকে পড়েছে চিনের একটি শহর। চিনের কোনও শহর এই তালিকায় প্রথম ১০-এ কখনও ঢোকেনি। এবার ঢুকল। চিনের চিঙ্গু শহরের একিউআই ১৫৮। একই একিউআই নিয়ে সপ্তম স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয়। অষ্টম স্থানে ফের চিনের শহর। চিনের গুয়ানঝু শহরের একিউআই ১৫৭। ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বই রয়েছে নবম স্থানে। মুম্বইয়ের একিউআই ১৫৩। দশম স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। একিউআই ১৫২।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যেখানে ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সওয়াল করছেন। আহ্বান করছেন বিনিয়োগকারীদের। সেখানে দেশের রাজধানীর বায়ু দূষণ মাত্রার শিখর ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারী থেকে পর্যটক কেউই এখানে আসা নিরাপদ বলে মনে করবেন না। যা ভারতের সার্বিক ভাবমূর্তির জন্যও খারাপ। ফলে একিউআই তালিকায় দিল্লির এই ১ নম্বরে উঠে আসা কিন্তু ভারতের জন্য নয়া সমস্যা তৈরি করল। পাশাপাশি বিশ্বের প্রথম ১০টি দূষিত বায়ুর শহরের মধ্যে ভারতের ৩টি শহর দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বই ঢুকে পড়াও অবশ্যই চিন্তার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *