কলেজ বাঙ্ক করে অঝোর বৃষ্টিতে ৪ তরুণীর ঝর্নাস্নান, ফল হল ভয়ানক

একে টানা বৃষ্টি চলছে। ভেসে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। সেইসঙ্গে পাহাড়, উপত্যকা, সবুজে ঘেরা প্রকৃতি বৃষ্টিতে হয়ে উঠেছে মোহময়। ছবির মত চারধারে চেয়ে থাকলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এক বর্ষামাখা দিনে ৪ দেওয়ালের কোণায় পড়া করতে মন চায়নি ৪ তরুণীর। সকলেরই বয়স ১৮-১৯-এর মধ্যে।
কলেজ খোলা। তাই বাড়ি থেকে বার হতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু তারপর আর কলেজে ঢোকেননি তাঁরা। অন্য কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তাঁরা কলেজ বাঙ্ক করে হাজির হন একটি ঝর্নার সামনে। ২ পাহাড়ের মাঝখান থেকে নেমে আসছে বিপুল জলরাশি। আছড়ে পড়ছে নিচের পাথরের ওপর। চারপাশ যেন কেউ মনের মত করে তুলি দিয়ে এঁকে দিয়েছে। অপরূপ প্রকৃতির রূপ যেন বৃষ্টিতে আরও খোলতাই হয়েছে।
এমন সুন্দর পরিবেশে একদম পিকনিক মুডে থাকা ৪ তরুণী সময় নষ্ট না করে নেমে পড়েন পাণ্ডবকাডা ঝর্নায় ঝাঁপাই জুড়তে। বৃষ্টি আর ঝর্নার জল তখন মিলেমিশে একাকার। ঝর্নার তলায় দাঁড়িয়ে হৈহৈ করে ভিজতে থাকেন তাঁরা। আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই আনন্দই তাঁদের শেষ আনন্দ হয়ে গেল। পাণ্ডবকাডা ঝর্নায় স্নান ঝুঁকিবহুল। তা তাঁরা জানতেন কিনা জানা যায়নি। তবে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি আর ঝর্নার জলের তোড়ে ৪ জনই ভেসে যান। কিছুতেই নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। মৃত্যু হয় ৪ জনেরই।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মহারাষ্ট্রের খারগর শহরের লাগোয়া পাণ্ডবকাডা ঝর্নায়। এই ঝর্না খাতায় কলমে এখন ঝুঁকিবহুল। তাই সরকার থেকে এখানে স্নান করা মানা। তাই এখানে আশপাশে ঘুরতে এলেও কেউ ঝর্নার তলায় যাওয়ার চেষ্টা করেননা। সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিলেন এই ৪ তরুণী। কীভাবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা যদি আছে তাহলে সেখানে সুরক্ষাকর্মী থাকা দরকার। নজরদারি থাকা দরকার। যাতে কেউ ঝর্নার ধারেকাছে ঘেঁষতে না পারেন। সেখানে কোনও বাধা না পেয়েই কীভাবে ঝর্নায় আনন্দ করে পৌঁছে গেলেন এঁরা? প্রশ্ন উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা