National

ফাঁদে পা দিল নরখাদক লেপার্ড

আতঙ্কটা ছড়াতে শুরু করেছিল। নরখাদক এক লেপার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। যে কেউ তার শিকার হতে পারেন। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বার হতেও পাঁচবার ভাবছিলেন। খুব দরকার না হলে বার হচ্ছিলেন না। কে জানে কখন ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মানুষের মাংসের স্বাদ পাওয়া লেপার্ড। আতঙ্কটা তৈরি হয়েছিল গত সপ্তাহ থেকে। বিহার থেকে আসা এক ব্যক্তিকে পাবো মার্কেট এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলে লেপার্ডটি।

মানুষখেকো লেপার্ড এলাকায় ঘাপটি মেরে রয়েছে। এ খবর পৌঁছয় বন দফতরের কাছে। দ্রুত তারা একটি ফাঁদ পাতে। একটি জাল পাতা হয়। সেই জালে কখন এই লেপার্ড পা দেয় সেই অপেক্ষায় ছিল বন দফতর। কিন্তু ফাঁদে সহজে পা দিচ্ছিল না লেপার্ডটি। ফলে এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছিল। অবশেষে সে ধরা দিল। খাবারের লোভে এসে ঢুকে পড় বন দফতরের পাতা জালে। আর ভিতরে ঢুকতেই বন্ধ হয়ে গেল মোটা লোহার রডের দরজা। মানুষখেকো লেপার্ড ধরা পড়ল জালে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের পৌরি জেলায়। এলাকার মানুষ যখনই লেপার্ডটিকে দেখতে পেয়েছেন তখনই তাঁরা খবর দিয়েছেন বন দফতরকে। কিন্তু বন দফতরের ফাঁদ পাতা ছাড়া কিছু করার ছিল না। কারণ সে লেপার্ড পাহাড় জঙ্গলের কোথায় লুকিয়ে থাকছে তা খুঁজে বার করা কঠিন। তার ওপর সে একবার যখন মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে তখন তার মানুষ দেখলে আক্রমণ করার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই ফাঁদ পাতা। আর তাতেই ধরা দিল লেপার্ড।

এক সময়ে জিম করবেটের বাঘ শিকারের বিভিন্ন কাহিনিতে এই এলাকার কথা পাওয়া গিয়েছে। মূলত উত্তরাখণ্ড এলাকার হিমালয়ের তরাই ও পার্বত্য এলাকাতে তখনও বাঘ বা লেপার্ডের হামলা হত। মানুষখেকো বাঘ বা লেপার্ড তখনও বারবার নজরে পড়েছে। গৃহপালিত পশু বা মানুষ ছিল তাদের সফট টার্গেট। যাদের সহজে কব্জা করা যেত। ওই এলাকায় এখনও যে মানুষখেকো রয়েছে তা ফের একবার প্রমাণ করল এই লেপার্ডটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *