SciTech

মৃত্যু এত রঙিন, মহাকাশে চোখ ধাঁধানো রোশনাইয়ে দেখল জেমস ওয়েব

মৃত্যু যে এত রঙিন হতে পারে তা বোধহয় এই দৃশ্য না দেখলে বোঝা যেত না। এমন এক ছবি পাঠাল জেমস ওয়েব।

ফেটে পড়ছে রংয়ের রোশনাই। তাতে নানা রংয়ের খেলা। গ্যাসের প্রকাণ্ড এক পরিসরে মহাকাশের মিশকালো অন্ধকারে ঝলমল করছে আলো। এ কোন খেলায় মেতে উঠল ব্রহ্মাণ্ড? অতিশক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব যে ছবি পাঠিয়েছে তা কিন্তু আলোর বাহারি রোশনাইয়ের হতে পারে, তবে তা কোনও সৃজনশীল গাথা নিয়ে মহাকাশে হাজির হয়নি। বরং মৃত্যুর আগের এক মুহুর্তকেই তুলে ধরেছে।

মৃত্যুও এমন রঙিন হতে পারে! এ যেকোনও মানুষের ধারনার বাইরে। তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই চোখ আটকে দেওয়া রোশনাই আসলে এক নক্ষত্রের শেষ মুহুর্ত। একে বলা হয় রিং নেবুলা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যে কোনও নক্ষত্র মৃত্যুর মুখে এসে দাঁড়ালে তখনই এই নেবুলা তৈরি হয়। এই সময় নক্ষত্রটি তার যাবতীয় ধারণ করা উপাদান ছুঁড়ে দেয়। যার অনেকটাই হয় গ্যাস।

এই গ্যাস ও উপাদানের এভাবে ছড়িয়ে পড়াটা হয় এমনই রঙিন। এতটাই চোখ ধাঁধানো। যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এটাই ওই মৃত প্রায় নক্ষত্রের শেষ ঝলকানি বলা যেতে পারে।

নক্ষত্রের মৃত্যুর যে চোখ ধাঁধানো রুদ্ধশ্বাস ছবি জেমস ওয়েব পাঠিয়েছে তা ঘটেছে পৃথিবী থেকে ২ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে এই রিং নেবুলা তৈরি হয়েছিল ২ হাজার ৬০০ বছর আগে। তবে তার দূরত্বের কারণে তা এখন দেখা গেল।

তবে এমন নানা সময়ে মহাবিশ্বে নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু চলছে। নেবুলা সব সময়ই এক চমকে দেওয়া চমক নিয়ে হাজির হয়। তার নানা আকার, প্রকার তাকে আরও সুন্দর করে তোলে। কীভাবে একটিমাত্র নক্ষত্রের মৃত্যুকালে এমন প্রকাণ্ড আলোকের খেলা সামনে আসে তা এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *