SciTech

নাসার কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মঙ্গলগ্রহের নদী

মঙ্গলগ্রহে নাসার যান পারসিভিয়ারেন্স ঘুরছে তথ্যের সন্ধানে। আর সেই তথ্য কার্যত তার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করল মঙ্গলের প্রাচীন নদী।

মঙ্গলে প্রচুর জলে ভরা নদী বয়ে যেত। যথেষ্ট গভীরও ছিল সেই নদী। সে তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে নাসার যান। এখন সেই নদীর তলদেশের মাটিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। নদীর জল অবশ্য এখন উধাও হয়েছে। যেটা পড়ে আছে সেটা হল মাটি, পাথর। সেই শুকিয়ে যাওয়া নদী যে এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে তা হয়তো বিজ্ঞানীরাও ভাবতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হয়েছে।

পারসিভিয়ারেন্স এখন মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করছে। প্রথমে মাটিতে ফুটো করছে। তারপর সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে একটি টিউবে ভরে ফেলছে।


সব সময় যে মাটি ফুটো করেই নমুনা সংগ্রহ করছে তা নয়। আশপাশে ছড়িয়ে থাকা পাথরও সংগ্রহ করছে নাসার যান। এই টিউবগুলি নমুনা ভরে ফিরে আসবে পৃথিবীতে। তারপর মঙ্গলগ্রহের মাটি হাতে পাওয়ার পর মঙ্গলের সম্বন্ধে ধারনা আরও বদলে যেতে পারে অচিরেই।

মঙ্গলকে ভাল করে চিনতে গেলে বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের বিভিন্ন অংশের মাটির নমুনা প্রয়োজন। কিন্তু নাসার রোভারটি বেশি দূর তো যেতে অক্ষম। তাই মঙ্গলের নানা প্রান্তের মাটি, পাথর সংগ্রহ যে করা যাচ্ছে এমনটা নয়।


একটি বিশেষ জায়গার আশপাশের মাটিই সংগ্রহ হচ্ছে। এই নদী কিন্তু নাসার এই নানা জায়গার মাটি, পাথরের প্রয়োজন মিটিয়ে দিচ্ছে। কারণ নদী যখন খরস্রোতা হয়ে বয়ে যেত তখন সে মঙ্গলের অন্য প্রান্ত থেকেও মাটি, পাথর বয়ে এনেছে।

ফলে নানা জায়গার পাথর, মাটি নদীর বিভিন্ন তলদেশে জমা হয়েছে। পারসিভিয়ারেন্স তাই এখন নদীর তলদেশে ঘুরে যে মাটি, পাথর সংগ্রহ করছে তা কেবল সেই অংশেরই নয়, লাল গ্রহের অন্য প্রান্তেরও। যা একসময় নদীর স্রোতে ভেসে এই অংশে এসে জমা হয়েছিল। তাতে রোভারকে সেই পর্যন্ত যেতে হল না। আবার সেই অংশের মাটিও জোগাড় হয়ে গেল।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button