National

ডিডি-র চিত্রগ্রাহকের প্রাণ বাঁচালেন প্রধানমন্ত্রী

স্টেজে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। আচমকাই কথা বন্ধ করে স্টেজের একদিকে দ্রুত চলে আসেন। প্রবলভাবে হাত নেড়ে কাউকে সরে যাওয়ার জন্য অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করেন। যেদিকে তাকিয়ে কাউকে দ্রুত সরার ইঙ্গিত করছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন দূরদর্শন ভোপালের এক চিত্রগ্রাহক। প্রধানমন্ত্রীকে বারবার সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করতে দেখে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। আর বোঝার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও একইভাবে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করতে থাকেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দিকে চেয়ে এভাবে ইঙ্গিত করতে দেখে অবশেষে বুঝতে পারেন ওই চিত্রগ্রাহক। ক্যামেরা ছেড়ে কার্যত লাফ মেরে সেখান থেকে সরে আসেন তিনি। আর পরক্ষণেই বিশাল জলের তোড় এসে আছড়ে পড়ে ট্রাইপডের ওপর দাঁড় করানো ক্যামেরার ওপর। জলের ঢেউয়ের প্রবল ধাক্কায় জলে আছড়ে পড়ে ভেসে যায় ক্যামেরা। গুজরাটের অজি জলাধার থেকে এদিন জল ছাড়ার কথা একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইমত জলও ছাড়া হয়। আর সেই বিশাল জলরাশি বয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী যেখানে বক্তব্য রাখছিলেন তার পাশ দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে ঠিক ওই কোণাটাই বেছে নিয়েছিলেন ডিডির চিত্রগ্রাহক। আর তাতেই বিপত্তি। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে রাখতেই দেখতে পান চিত্রগ্রাহকের পিছনে ছুটে আসছে সদ্য জলাধার থেক মুক্ত হওয়া বিশাল জলরাশি। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন চেঁচিয়ে বললে ওই চিত্রগ্রাহকের কানে পৌঁছবে না। অন্যভাবে বার্তা পৌঁছতে গেলেও অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই নিজেই অঙ্গভঙ্গি করে ওই চিত্রগ্রাহককে দ্রুত সরে আসার ইঙ্গিত করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টির জেরে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচল এদিন। সকলে প্রধানমন্ত্রীর এই তৎপরতায় যারপরনাই খুশি। সকলেই মুখে মুখে এখন ঘুরছে এই রোমহর্ষক ঘটনার কাহিনি।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button