National

ময়ূরদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজের বাড়িতেই ময়ূরদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের নিজের হাতে খাওয়ালেন।

নয়াদিল্লি : রবিবার সকালটা একটু অন্যরকম কাটল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দিল্লির ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গ-এ তাঁর বাসভবনে তিনি সকালে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন দেশের জাতীয় পক্ষী ময়ূরদের সঙ্গে। নিজে হাতে করে খাওয়ালেন তাদের। সেই ভিডিও এবং ছবির কোলাজ তিনি পরে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন। কখনও হাতে থালা নিয়ে, কখনও বা হাতে করে ময়ূরদের খাওয়ান তিনি। ময়ূররাও বেজায় খুশি খাবার পেয়ে। ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাড়ির সিঁড়িতে বসে একটি ময়ূরকে খাওয়াচ্ছেন।

অন্য অংশে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন ঘরে। সোফায় বসে হাতে থালা নিয়ে তিনি ধরে আছেন। আর তাঁর সামনে ২টি ছোট ময়ূর থালা থেকে খেয়ে চলেছে। পুরো ভিডিওটির পিছনে বেজে চলেছে একটি বাঁশির সুর। এক নির্মল সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে সব মিলিয়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নিজের বাড়ির গাছে ঘেরা লনে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। সেখানে কখনও ময়ূর নেচে উঠছে। নিজের খেয়ালে ময়ূর পেখম মেলে নাচছে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ময়ূর যে প্রধানমন্ত্রীকে দেখে পালিয়ে যাচ্ছে বা ভয় পাচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রধানমন্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে তাঁর নিজের মত করেই তিনি হেঁটে যাচ্ছেন। পাশে আপন মনে খেলে বেড়াচ্ছে ময়ূর। এমন এক সুন্দর পরিবেশে এমনভাবে প্রধানমন্ত্রীর ময়ূরদের সঙ্গে সময় কাটানোর কিছু মুহুর্ত দেখে সকলেই খুশি। এই ভিডিওটি আপলোড করার পাশাপাশি তিনি একটি কবিতাও দিয়েছেন। ময়ূরকে নিয়ে লেখা কবিতায় উঠে এসেছে ঈশ্বর চেতনা।

এর আগেও মাকে নিয়ে নিজের বাড়ির লনে হেঁটে চলার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভিডিও আপ্লুত করেছিল সকলকে। এবার তাঁর দেওয়া ময়ূরকে খাওয়ানো, তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও সমানভাবে আপ্লুত করল সকলকে। সাধারণত ভিভিআইপি-দের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দেওয়ার বড় একটা সুযোগ থাকেনা। তাঁদের পারিবারিক জীবনযাপনের ছবি প্রকাশ্যে আসেনা। কিছু খবর আসে মাত্র। দেশের ১ নম্বর ভিভিআইপি কিন্তু তাঁর সেই ব্যক্তিগত জীবনকে সকলের সামনে খুলে দিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *