বাংলার জন্য একশো বাঙালির অভিনন্দন পেলেন প্রধানমন্ত্রী
কোনও দলীয় ভেদাভেদ নয়, বাংলার জন্য ১০০ বাঙালির অভিনন্দন পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তাঁরা।
তালিকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সকলেই কৃতী বাঙালি। যাঁরা জীবনের কোনও না কোনও ক্ষেত্রে সফল। এঁদের মধ্যে কেউ অধ্যাপক, কেউ বিদ্বান, কেউ শিক্ষাবিদ, কেউ ঐতিহাসিক, কেউ অর্থনীতিবিদ, কেউ লেখক।
নানা ক্ষেত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন। কারণ বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র সম্প্রতি ভারতের ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রদান করেছে। যা এই শতাব্দী প্রাচীন ভাষার প্রাপ্য বলেও মনে করেন অনেকে।
বাংলার মত মিষ্টি ভাষা এবং এই ভাষার সাহিত্য চর্চায় অবদান অনস্বীকার্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজি নজরুল ইসলামের সেই বাংলা ভাষা এখন ভারতের প্রথমসারির ভাষা।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আইআইটি-র অধ্যাপক থেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা থেকে রাষ্ট্রদূত, এমন সফল বাঙালিদের প্রায় ১০০ জন প্রধানমন্ত্রীকে একটি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতার বার্তা পাঠিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বাংলাকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানের জন্য তাঁদের এই একত্র প্রয়াস।
বাংলার এই বিশেষ সম্মান প্রাপ্তি শুধু এ রাজ্যে বা এদেশে বসবাসকারী বাঙালিদেরই নয়, বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিদেরও সমানভাবে গর্বিত করেছে। গত ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলাকে দেশের ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানে সবুজ সংকেত দেয়।
প্রসঙ্গত আগেই সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম ও ওড়িয়া ভাষাকে দেশের ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এবার বাংলা সহ পালি, প্রাকৃত, মারাঠি ও অসমীয়া ভাষাকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা