World

মার্কিন কংগ্রেসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীরা

Narendra Modiমার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নমো ম্যাজিকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য আচ্ছন্ন হতে হয়েছে মার্কিন মুলুকের দুঁদে রাজনীতিবিদদের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী একা নন। মার্কিন কংগ্রেসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীদের পা পড়েছে বিভিন্ন সময়ে। স্বাধীনতার পর তখন দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই সময়ে মার্কিন কংগ্রেসে পা রাখেন জওহরলাল নেহেরু। সময় ১৩ অক্টোবর, ১৯৪৯। মার্কিন কংগ্রেসের মূল ভবনের চলছে সংস্কার। তাই পাশে অন্য একটি জায়গায় চলছিল মার্কিন কংগ্রেসের কর্মযজ্ঞ। সেই অস্থায়ী ঠিকানায় দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও হৃদয়ের স্পর্শ নিয়ে একটি মর্মস্পর্শী ভাষণে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের অভিভূত করে দেন জওহরলাল।

এরপর কেটে যায় একটা বড় সময়। এবার ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাতির পালা। রাজীব গান্ধী তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ১৩ জুন ১৯৮৫-তে মার্কিন কংগ্রেসে পা রাখলেন তিনি। ভারতের যুব শক্তির জয়গান গেয়ে এক নতুন রাষ্ট্রের কথা বলে এলেন মার্কিন মুলুকে। জানিয়ে এলেন তিনি একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও  স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এরপর নব্বইয়ের দশকে প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের পালা। ভারত তখন সবে মিশ্র অর্থনীতির তকমা ঝেড়ে মুক্ত অর্থনীতির রাষ্ট্রের স্বপ্নে বুঁদ। সেইসময়ে ১৯৯৪ সালের ১৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরসীমা রাও জানালেন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এক শক্তিশালী, নতুন যুগে প্রবেশদ্বার হিসাবে চিহ্নিত হবে।

এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০০ সাল। নতুন শতাব্দীর প্রারম্ভে মার্কিন কংগ্রেসে পা রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এই প্রথম কোনও অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলেন সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভারত-মার্কিন সমস্যা তখন দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। বাজপেয়ী ঠিক সেই ইস্যুটিকেই সামনে আনলেন। মার্কিন কংগ্রেসে সাফ জানালেন, এসব ইস্যু দুই দেশের সম্পর্কের ওপর কালো ছায়া ফেলছে। দুই দেশের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিল অনেক বেশি।

এরপর ১৯ জুলাই ২০০৫। ফের এক কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন মার্কিন কংগ্রেসে। তিনি মনমোহন সিং। সন্ত্রাসবাদকে নিকেশ করতে মনমোহনের বক্তৃতায় করতালি মুখর হয় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। সন্ত্রাসবাদকে গণতন্ত্রের শত্রু বলে ব্যাখ্যা করে তা নির্মূল করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এরপর কেটে যায় ১১ বছর। তারপর ফের মার্কিন কংগ্রসের যৌথ অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে মুগ্ধ কংগ্রেস সদস্যরা। অটল বিহারি বাজপেয়ীর পর নরেন্দ্র মোদীই হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যাঁর দীর্ঘ বক্তৃতা মন দিয়ে শুনলেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *