সেটে ঢুকে আশপাশ দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন অভিনেত্রী
সেটে অভিনয় করতে পৌঁছেছিলেন সঠিক সময়ে। কিন্তু সেট দেখেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। শ্যুটিং ছেড়ে অভিনেত্রীকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
![Mridula Oberoi](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/10/mridula-oberoi.jpg)
তিনি এক খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। সিরিজে খলনায়িকা তো একজন থাকতেই পারেন। সিরিজের শেষে পৌঁছে খলনায়িকা বুঝতে পারেন যে তিনি যা খারাপ করে এসেছেন তা ঠিক করেননি। তিনি অনুতাপে ভুগতে থাকেন। সেই অনুতাপ তাঁকে ক্রমে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিতে থাকে।
প্রায় শ্যুটিংয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে তাঁকে এই আত্মহননের অভিনয়টা করতে হত। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী তিনি গলায় দড়ি দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেবেন। নিজের ভুলের শাস্তি তিনি নিজেই নিজেকে দেবেন।
এই অভিনয়টা সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে সেইমত সেট তৈরি করা হয়েছিল। যাতে এই আত্মহননের দৃশ্যায়নটা খুব বাস্তবসম্মত ভাবে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা যায়। সেটে অভিনেত্রী মৃদুলা ওবেরয় পৌঁছেও যান।
মৃদুলাকে মৃত্যুর অভিনয় করতে হবে। সেইমত মানসিক প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু সেটে ঢুকে সেটের সাজসজ্জা দেখে মৃদুলা আচমকা অজ্ঞান হয়ে যান। ফলে শ্যুটিং ওঠে লাটে। অভিনেত্রীকে সুস্থ করতে সেটের সকলের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।
বাঘিন নামে একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করছেন মৃদুলা ওবেরয়। পরে সুস্থ হয়ে মৃদুলা জানিয়েছেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মানুষ। তাই এই দড়ি ঝুলছে, আত্মহননের অভিনয় করতে হবে তাঁকে, সেটের আশপাশ সামঞ্জস্য রেখে বানানো, এসব দেখে তাঁর খুব খারাপ লাগতে শুরু করে।
তারপরই মৃদুলা অজ্ঞান হয়ে যান। তবে মৃদুলা এটাও জানিয়েছেন প্রথম সিরিজে অভিনয়টা তিনি খুবই উপভোগ করেছেন। তাঁর ভাল লেগেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা