এভারেস্টে কত নিচে নামে পারদ, ঝড়ের গতিতে খড়কুটোর মত উড়ে যেতে পারে মানুষ
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। সেই বরফ ঢাকা এভারেস্টে কত নিচে নামে পারদ। জানলে অবাক হতে হয়। অবাক হতে হয় সেখানে ঝড়ের গতি শুনলে।

মাউন্ট এভারেস্টকে নিয়ে সর্বদাই মানুষের উৎসাহ থাকে। এখনও পর্বতারোহীরা স্বপ্ন দেখেন কবে তাঁরা এভারেস্টের চুড়োয় পৌঁছবেন। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা এভারেস্ট চিরকালই মানুষকে টেনেছে। যাঁরা পাহাড় ভালবাসেন তাঁদের তো বটেই।
এই এভারেস্ট এখনও বেড়ে চলেছে। এভারেস্টে তো প্রতিবছরই বহু পর্বতারোহী চড়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের অনেকে সফলও হন। কেউ কেউ আবার মাঝপথেই হাল ছেড়ে নেমে আসতে বাধ্য হন।
কিন্তু এই বরফ ঢাকা এভারেস্টে পারদ কতটা নিচে নামতে পারে সেটা অবশ্যই কৌতূহলের বিষয়। হিসাব বলছে এভারেস্টের পারদ শীতের সময় সবচেয়ে নিচে নামে। তা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। যা ফারেনহাইটের হিসাবে মাইনাস ৭৬ ডিগ্রি।
এভারেস্টে বেশ ঝোড়ো হাওয়া থাকে। সেই ঝোড়ো হাওয়া বাড়তে পারে এমন পর্যায়ে যে গতির মুখে খড়কুটোর মত উড়ে যাবেন পর্বতারোহীরা। তাহলে কি ঝুঁকি নিয়েই ওঠেন তাঁরা? ঠিক তা নয়। কারণ শীতকালে এভারেস্টে মানুষ উঠতে পারেননা।
সেই সময় এভারেস্টে যে ঝড় বয় তার সর্বোচ্চ গতি পৌঁছে যায় ২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। মাইলের হিসাবে ১৭৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা। এই গতির মুখে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না।
এই হাওয়ার ধাক্কা সামলাতেও পারবেননা কেউ। উড়ে যাবেন এই ঝড়ের মুখে পড়লে। তবে যে সময় এই ঝড় বয় বছরের সেই সময় কেউ এভারেস্টে ওঠেন না।