World

করোনার মধ্যেই নয়া রোগ, চিন্তায় বিশ্ব

করোনা এখনও দাপটে ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বে। তারমধ্যেই আবার এক নয়া সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করল।

উলানবাটর : চিনে গত ডিসেম্বরে প্রথম ধরা পড়ে করোনা। তখন তা কেবল চিনের একটি জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তারপর মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। যার ধাক্কায় এখনও বেসামাল বিশ্ববাসী। এরমধ্যেই ফের নতুন বিপদ উঁকি দিতে শুরু করল। চিনে শুরু করোনার মতই এই রোগও শুরু হয়েছে। এই রোগ অবশ্য চিনে নয়, লাগোয়া মঙ্গোলিয়ায় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যা প্রাণ কাড়তে শুরু করেছে। আরও চিন্তার যে এই রোগও প্রবল ছোঁয়াচে।

মঙ্গোলিয়ায় গত মাসেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তাঁর বিউবনিক প্লেগ ধরা পড়ে। তারপর থেকে একে একে বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত মানুষের খোঁজ মিলছে সে দেশে। খোব্দ প্রদেশে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যেতেই তাঁকে আলাদা করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা ২২ জনকে কোয়ারেন্টিন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

ওই ব্যক্তি কাঠবিড়ালি জাতীয় কোনও প্রাণীর মাংস খেয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা মনে করছেন এই মাংস থেকেই তাঁর শরীরে হানা দিয়েছে বিউবনিক প্লেগ। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেশবাসীকে এই ধরনের কাঠবিড়ালি জাতীয় প্রাণীর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মঙ্গোলিয়ার প্রশাসন। অবশ্য মঙ্গোলিয়ায় এ ধরনের প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। এদিকে গত ১১ অগাস্টই এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির প্রাণ কেড়েছে এই প্লেগ।

সাধারণত এই বিউবনিক প্লেগ খুব একটা দেখা যায়না। মাছি থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। তবে খুব ছড়াচ্ছে এমনটা বিউবনিক প্লেগের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি এখনও। কিন্তু মঙ্গোলিয়ায় এখন যেভাবে বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে তাতে সে দেশের প্রশাসন চিন্তিত। কারণ সে দেশে ২১টি রাজ্যের মধ্যে ১৭টি রাজ্যেই বিউবনিক প্লেগ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন সে দেশের পশুপাখিবাহী রোগ-এর বিশেষজ্ঞেরা।

করোনা যেহেতু চিন থেকে আচমকা গোটা বিশ্বে ছড়ায় তাই সিঁদুরে মেঘ দেখার মত বিশ্বের অন্যান্য দেশও এই খবরে চিন্তায় পড়েছে। চিন্তা একটাই, করোনার মধ্যে আবার এই নতুন বিপদ ছড়াতে শুরু করলে সমস্যা আরও বাড়বে। সবকিছুর মধ্যে একটাই আশার আলো যে এই রোগ খুব বেশি ছড়িয়েছে এমন উদাহরণ নেই। তবে রোগটি আগেও ছিল। তাই কিছুটা হলেও চেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *