World

সংরক্ষণের এতটুকু চেষ্টা নেই, নষ্ট হতে বসেছে মহেঞ্জোদারোর ঐতিহাসিক নিদর্শন

সিন্ধু সভ্যতার কথা তো ইতিহাসের বইয়ের পাতায় ছোট থেকে পড়ে বড় হয় ছাত্রছাত্রীরা। সেই মহেঞ্জোদারোর ঐতিহাসিক নিদর্শন শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে এসে পড়েছে।

মহেঞ্জোদারো নামটা শুনলেই এসে পড়ে আরও একটা নাম হরপ্পা। আর সিন্ধু সভ্যতা বলতে হরপ্পা মহেঞ্জোদারো নাম ২টো যমজ সন্তানের মত উচ্চারিত হয়।‌

মাটি খুঁড়ে মহেঞ্জোদারোর বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। যা ঐতিহাসিক দিক থেকে অমূল্য। যাকে কার্যত যে কোনও মূল্যে রক্ষা করা প্রশাসনের অন্যতম কর্তব্য। কারণ এই নিদর্শন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে একটা ইতিহাসের অধ্যায় বিশ্ব থেকে মুছে যাওয়া।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কিন্তু ঠিক সেটাই হতে বসেছে। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে পাওয়া যাওয়া মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের সেই উদ্যোগই নেই প্রশাসনের।

পাকিস্তানে এবার অস্বাভাবিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই বন্যার জল ক্ষেত থেকে সরানোর জন্য মহেঞ্জোদারোর নিদর্শনের আশপাশের কৃষকরা খাল কেটে পাইপের মাধ্যমে জল মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষের দিকে ঢেলে দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে অতিবৃষ্টির জল তো রয়েছেই।

মহেঞ্জোদারোর মাটি খুঁড়ে পাওয়া নিদর্শনের বেশ কয়েকটি দেওয়াল ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। অন্য নিদর্শনও নষ্ট হওয়ার মুখে। অথচ তা রক্ষা করার কোনও চেষ্টাই প্রশাসনের নেই।

ইতিমধ্যেই এত অবহেলা হতে থাকলে বিশ্ব হেরিটেজের তালিকা থেকে মহেঞ্জোদারোর নাম কেটে দেওয়ার কথাও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও পাকিস্তান সরকারের কোনও হেলদোল এখনও নজরে পড়েনি।

মহেঞ্জোদারোর নিদর্শনকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কি সম্যক ধারনার অভাব রয়েছে প্রশাসনের? এমন প্রশ্নও তুলছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *